দুবাই ‘এয়ার শো’তে ভারতীয় যুদ্ধবিমান তেজসের (Tejas) দুর্ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে বর্ণনা করেছেন হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL)-এর চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডি কে সুনীল। তবে তিনি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে এই ঘটনা তেজস কর্মসূচির ভবিষ্যতের উপর কোনও প্রভাব ফেলবে না, কারণ যুদ্ধবিমানটিতে কোনও ত্রুটি নেই।এইচএএল ভবিষ্যতে ইউ-সিএভি এবং ইউএইচএমের মতো প্রকল্পগুলিতেও কাজ করছে।
হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL)-এর চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডি কে সুনীল দুবাই এয়ার শো-এর শেষ দিনে ভারতীয় যুদ্ধবিমান তেজসের দুর্ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন যে এই ঘটনা তেজস কর্মসূচির ভবিষ্যতের উপর কোনও প্রভাব ফেলবে না। তিনি বলেন যে তেজস যুদ্ধবিমানে কোনও ত্রুটি নেই। এটি একটি চমৎকার বিমান।
তেজস-এ কোনও সমস্যা নেই
প্রকৃতপক্ষে, ANI-এর জাতীয় নিরাপত্তা শীর্ষ সম্মেলনে প্রতিরক্ষা রপ্তানির বিষয়ে বলতে গিয়ে, HAL পরিচালক বলেন, “তেজাসের সাথে কোনও সমস্যা নেই। এই প্ল্যাটফর্ম থেকে, আমি ঘোষণা করছি যে এটি একটি চমৎকার যুদ্ধবিমান। এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ। এটির বিশ্বের সেরা নিরাপত্তা রেকর্ড রয়েছে।”
‘দুবাইতে তেজাস দুর্ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক’
একই সাথে, দুবাইতে তেজস বিমান দুর্ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করে তিনি বলেন যে এই দুর্ঘটনা তেজসের ভবিষ্যতের উপর কোনও প্রভাব ফেলবে না। উল্লেখ্য, বিদেশের মাটিতে তেজস বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম। তবে, প্রতিষ্ঠার পর থেকে, তেজস মাত্র দুবার বিধ্বস্ত হয়েছে।
খুব শীঘ্রই তেজস একটি প্রধান রপ্তানি বাজার পাবে
এইচএএল চেয়ারম্যান বলেন, যখন একটি দেশ এগিয়ে যায় এবং নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে, তখন তাকে বেশ কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। আজ, আমরা নতুন ক্ষমতা সহ এই ৪.৫-প্রজন্মের বিমানটি তৈরি করেছি। এটি একটি বিশাল সাফল্য।
আমরা সকলেই এতে গর্বিত। তিনি বলেন, “মানুষ হয়তো বলবে এবং অজুহাত দেখাবে, কিন্তু আমরা পিছু হটব না। বর্তমানে আমাদের কাছে ১৮০টি তেজস বিমান রয়েছে এবং এই সংখ্যা আরও বাড়বে। এই বিমানের জন্য আমাদের একটি বড় রপ্তানি বাজারও থাকবে।”
HAL-এর ভবিষ্যৎ প্রকল্পগুলি
HAL-এর ভবিষ্যৎ অর্ডার সম্পর্কে বলতে গিয়ে জানা গেছে যে, Unmanned Combat Aerial Vehicle (U-CAV) – CATS Warrior – শীঘ্রই সম্পন্ন হবে, ২০২৬ সালের মধ্যে প্রস্তুত হবে এবং ২০২৭ সালের মধ্যে উড়বে। একইভাবে, HAL ইউটিলিটি হেলিকপ্টার মেরিটাইম (UHM) নিয়েও কাজ করছে, যা ২০২৭ সালে উড়বে।
