নিজস্ব প্রতিনিধি: জুড়ল দুই পার, দূরত্বকে মুছে শুরু হলো সংসার। পদ্মা সেতুকে ঘিরে দুই বাংলার উন্মাদনা তো ছিলই, শুধু উন্মাদনা নয় সিনেমা কেও হার মানিয়েছে পদ্মা নদীর দুই পারের যুবক যুবতীর প্রেম কাহিনী।
হাসান মাহমুদ এবং সারজিনা হোসাঈন তৃমা। দু’ জনের বাড়ি পদ্মা নদীর দু’ পারে। একজন থাকেন সাভারে, অন্যজন গোপালগঞ্জে। যেদিন পদ্মার দু’ পার সেতুর মাধ্যমে জুড়ল, প্রেম জীবন ১০ বছর পার করে সেদিনেই জীবনের সেতুবন্ধন হল হাসান মাহমুদ এবং সারজিনা হোসাঈন তৃমার।
দুজনের প্রেমের সম্পর্ক ১০ বছর পার হয়েছে। সূত্রের খবর দু’জনের বিয়ে ঠিক হওয়ার পরেও তা পিছিয়ে দেন তাঁরা নিজেরাই। বিয়ে ঠিক হবার পর তাঁরা খবর পান পদ্মা সেতু তৈরি হবে এবং সহজ হবে ভালোবাসার দূরত্ব। তখনই বাড়িতে জানিয়ে দেন, পদ্মা ব্রিজ তৈরি না হলে বিয়েই করবেন না! এই প্রস্তাব তৃমাকে দেন হাসান। তাতে মত ছিল দুজনেরই। প্রথমদিকে তৃমার বাড়ি থেকে আপত্তি থাকলেও অটল ছিল তৃমা। অবশেষে শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করার পর বিয়ের শপথবাক্য পাঠ করেন হাসান এবং তৃমা।
সূত্রের খবর, গত ২৪ মে ঘোষণা করা হয়েছিল ২৫শে জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন। ফলে ওইদিনেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন হাসান-তৃমা। কথা মত ১৪ জুন সন্ধ্যায় যখম পদ্মা সেতু আলোকিত হয়ে উঠল, তখনই হাসানের গায়ে হলুদ হয়। ২৪ জুন ঢাকায় গায়ে হলুদ হয় তৃমার।
মঙ্গলবার বিকেলে হাসান তাঁর ফেসবুকে তাঁর বিয়ের কার্ড পোস্ট করেন। তাতে লেখা হয়েছিল, ২৫ জুন তাঁদের বিয়ে এবং ১ জুলাই বিয়ের রিসেপশন। কার্ডের নিচের অংশ জুড়ে রয়েছে পদ্মা সেতুর প্রতীকী অলংকরণ। এ প্রসঙ্গে হাসান বলেন, “পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনেই আমাদের বিয়ের পরিকল্পনা। তাই কার্ডে পদ্মা সেতুর প্রতীকী অলংকরণ রাখা হয়েছে। এই কার্ড সেতুবন্ধনের বার্তা দেয়।”
তৃমার কথায়,“পদ্মা সেতু সংযোগের মাধ্যম। এই সেতু আমাদের সাহস, দৃঢ়তারপ্রতীক। আমাদের প্রেম থেকে বিয়ের যাত্রাপথের সাক্ষী হয়ে থাকল এই সেতু।”