মুর্শিদাবাদ থেকে বাংলার পুলিশ দুই ব্যক্তিকে জঙ্গি (Terrorist) সন্দেহে আটক করেছে। ধৃত সাজিবুলের (Terrorist) স্ত্রী তারমধ্যে পঞ্চায়েত সদস্য। সেই সাজিবুলের একাধিক কার্যকলাপ চোখের সামনে আসতে কার্যত চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের। এই মধ্যে রাজ্য পুলিশের চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ্যে (Terrorist) এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়া মগজধোলাই থেকে শুরু করে বাংলাদেশি জঙ্গিদের (Terrorist) আশ্রয় দেওয়া সব ক্ষেত্রেই সাজিবুলের সক্রিয় ভূমিকা ছিল।
সাজিবুল ‘দাওয়াত এ ইশাক’ নামের এক বিশেষ কর্মসূচি চালাতেন। জঙ্গি কার্যকলাপ ছড়ানোই ছিল এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য। এই কর্মসূচির মাধ্যমে চলতো মগজধোলাই। কেরল থেকে শাদ রাডি নামের এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করে আসাম পুলিশের বিশেষ শাখা। তারই পিসতুতো দাদা সাজিবুল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আল কায়েদা সহ একাধিক সংগঠনের বাংলাদেশি সদস্যদের আশ্রয় দিয়েছিলেন সাজিবুল এবং মুস্তাকিম। যেখান থেকে সজিবুল ও মুস্তাকিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেখানের বাসিন্দা শাদ রাডি। আবার সেখান থেকেই জঙ্গি যোগে হরিহরপাড়া থেকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল মিনারুল শেখ ও আব্বাস আলিকে।
সকলকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় বার বার সজিবুলের নাম উঠে আসে। রবিবার গভীর রাতে হানা দেয় বাংলার এসটিএফ। বেঙ্গল এসটিএফ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করেছে। নওদার দুর্লভপুরের বাসিন্দা সাজিবুল ও ভোলা গ্রামের বাসিন্দা মোস্তাকিমকে গ্রেফতার করার পর উঠে আসছে একের পর এক তথ্য। জানা গিয়েছে, আব্বাস আলির যে মাদ্রাসা ছিল, সেখানে নিয়মিত যাতায়াত ছিল সাজিবুলের। জামাত আল-কায়েদা ও আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল এই সাজিবুলের। আল কায়দার হয়েও সাজিবুল কাজ করতো বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে একাধিক মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। সেখান থেকে একাধিক তথ্য পাওয়া গিয়েছে। শাদ রাডির পিসতুতো বৌদি তৃণমূলের নেত্রী ও পঞ্চায়েতে সদস্যা। এদিন সাজিবুল ইসলামকে গ্রেফতার করায় হতবাক তাঁর স্ত্রী। কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হল, সেই বিষয়ে কিছু বুঝতে পারছেন না সাজিবুলের স্ত্রী।