বুধবার জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলায় নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর একটি নতুন অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করা হয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে, মঙ্গলবার পহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলার (Terrorist Attack) পর উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। অভিযান চলাকালীন, দুই সন্ত্রাসবাদীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এবং অনুপ্রবেশকারীদের বহন করা অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
সরকারি বিবৃতি অনুসারে, ২৩শে এপ্রিল সকালে উত্তর কাশ্মীরের উরি নালার কাছে সরজীবন এলাকা দিয়ে দুই থেকে তিনজন সন্ত্রাসবাদী (Terrorist Attack) অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। “নিয়ন্ত্রণ রেখায় সতর্ক সেনারা অনুপ্রবেশকারী দলটিকে চ্যালেঞ্জ করে বাধা দেয়, যার ফলে গুলিবিনিময় শুরু হয়,” সেনাবাহিনী জানিয়েছে। অভিযান চলছে এবং আরও বিস্তারিত জানার জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।
OP TIKKA, Baramulla
On 23 Apr 2025, approximately 2-3 UI terrorists tried to infiltrate through general area Sarjeevan at Uri Nala, Baramulla, the alert tps on LC challenged and intercepted them resulting in a firefight.
Operation is in progress.#Kashmir@adgpi… pic.twitter.com/FOTXiTNYSf
— Chinar Corps🍁 – Indian Army (@ChinarcorpsIA) April 23, 2025
পহেলগামের কাছে বৈসরান উপত্যকায় এক নৃশংস সন্ত্রাসবাদী হামলায় (Terrorist Attack) ভারতীয় ও বিদেশী পর্যটক সহ ২৬ জন নিহত হওয়ার একদিন পর এই নতুন অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা হল। ২০১৯ সালে পুলওয়ামার পর জম্মু ও কাশ্মীরে সবচেয়ে ভয়াবহ এই হামলাটি – যা সবচেয়ে বেশি উচ্চতায় অবস্থিত – দেশজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
দিল্লি, মুম্বাই, জয়পুর এবং অমৃতসর সহ শহরগুলিতে এখনও উচ্চ সতর্কতা জারি রয়েছে, নিরাপত্তা সংস্থাগুলি নজরদারি এবং সীমান্ত তল্লাশি জোরদার করেছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও তৎপরতা শুরু করেছে: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপত্যকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে শ্রীনগরে ছুটে গেছেন, অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার সৌদি আরব সফর সংক্ষিপ্ত করে নয়াদিল্লিতে ফিরে এসেছেন।
মঙ্গলবারের পহেলগাম হামলার (Terrorist Attack) দায় স্বীকার করেছে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ), যাকে পাকিস্তান-ভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি) এর একটি ছায়া সংগঠন বলে মনে করা হচ্ছে। এই গোষ্ঠীটি দুর্গম বৈসারান উপত্যকার পর্যটকদের লক্ষ্যবস্তু করেছিল, যেখানে কেবল ট্রেকিং বা ঘোড়ার পিঠে করেই যাওয়া যায়, যা উদ্ধার অভিযানকে জটিল করে তোলে।