ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড লস্কর-ই-তৈয়বার সন্ত্রাসবাদী (Terrorist) আবু কাতাল পাকিস্তানে নিহত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় এক আক্রমণে তিনি মারা যান। ভারতে অনেক সন্ত্রাসী হামলায় জড়িয়ে আছে এই লস্কর জঙ্গির নাম। এনআইএ তার বিরুদ্ধে চার্জশিটও দাখিল করেছিল।
খবরে বলা হয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় পাকিস্তানের ঝিলামে যখন আবু কাতালের উপর হামলা চালানো হয়, তখন সন্ত্রাসী হাফিজ সাইদও তার সাথে উপস্থিত ছিলেন। এই ঘটনার পর থেকে হাফিজ সাঈদ নিখোঁজ।
আবু কাতাল হাফিজ সাঈদের ঘনিষ্ঠ ছিলেন
সন্ত্রাসবাদী আবু কাতালকে হাফিজ সাইদের খুব ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হত। হাফিজ মুম্বাই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী। ২৬/১১ মুম্বাই হামলায় ১৬৬ জন নিহত হন। মুম্বাইয়ের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ১০ জন লস্কর সন্ত্রাসী (Terrorist) হামলা চালিয়েছিল।
আবু কাতাল ছিলেন রিয়াসি হামলার মূল পরিকল্পনাকারী
আবু কাতালের কথা বলতে গেলে, ৯ জুন, জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসির শিব-খোদি মন্দির থেকে ফিরে আসা তীর্থযাত্রীদের একটি বাসে হামলা চালায় তারা। এছাড়াও, আবু কাতালকে কাশ্মীরে অনেক বড় হামলার (Terrorist) মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। ২০২৩ সালের রাজৌরি হামলার জন্য আবু কাতালকে দায়ী করেছিল এনআইএ।

রাজৌরির হামলায় ৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন
২০২৩ সালের পয়লা জানুয়ারি রাজৌরি জেলার ধাংরি গ্রামে একটি সন্ত্রাসবাদী (Terrorist) হামলা হয়। পরের দিনই আইইডি বিস্ফোরণ ঘটে। এই হামলায় দুই শিশুসহ সাতজন নিহত হন এবং অনেকেই গুরুতর আহত হন। এই মামলায় এনআইএ যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিল, তাদের মধ্যে তিনজন পাকিস্তানি সন্ত্রাসীও ছিলেন।
কোন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে NIA চার্জশিট দাখিল করেছে?
এনআইএ তাদের চার্জশিটে তিনজন লস্কর সন্ত্রাসীকে এই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে উল্লেখ করেছে। তাদের নাম সাইফুল্লাহ ওরফে সাজিদ জাট, মহম্মদ কাসিম এবং আবু কাতাল ওরফে কাতাল সিংহি। আবু কাতাল এবং সাজিদ জাট পাকিস্তানি নাগরিক ছিলেন, অন্যদিকে কাসিম ২০০২ সালের দিকে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন এবং সেখানে সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বাতে যোগ দিয়েছিলেন।