জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলার সেনা কনভয় টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা (Terrorists Attack)। সেনা ক্যাম্পে হামলা চালায় জঙ্গিরা। সেনাবাহিনী পাল্টা জবাব দেওয়ার পর সংঘর্ষ শুরু হয়। সূত্র জানায়, এটি একটি পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা ছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনী এর উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে। পুলিশের অতিরিক্ত দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। জেলার বিলাওয়ার তহসিলের মাছেদি এলাকার বাদনোতা গ্রামে জঙ্গিরা হামলা চালায়।
এলাকাটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৯ কর্পসের আওতাধীন। সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালালে (Terrorists Attack) সৈন্যরা পাল্টা জবাব দেয়। উভয় পক্ষের গুলিবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। এর আগে শনিবার কাশ্মীরের কুলগামে দুটি এনকাউন্টারে ছয় জঙ্গি নিহত হয়। এই সময় দু “জনের মৃত্যু হয়।
আধিকারিকরা রবিবার বলেছিলেন যে মোদারগাম এনকাউন্টারে দুই সন্ত্রাসবাদীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, এবং রবিবার চিন্নিগাম থেকে চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আধিকারিক জানিয়েছেন, শনিবার কুলগাম জেলার দুটি গ্রামে এনকাউন্টার শুরু হয়। এনকাউন্টারে একজন কমান্ডো সহ দুই সেনা নিহত হন।
অভিযান সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে পুলিশের মহানির্দেশক আর আর সোয়াইন বলেন, ৬ জন সন্ত্রাসবাদীকে নির্মূল করা একটি বড় সাফল্য। এই সাফল্য একটি লক্ষণ যে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদের অবসানের লড়াই তার উপসংহারে পৌঁছাবে।
গত কয়েক মাসে জম্মু ও কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসবাদী হামলা (Terrorists Attack) হয়েছে। রিয়াসি, কাঠুয়া এবং দোদায় হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। 9ই জুন রিয়াসি হামলায় নয়জন তীর্থযাত্রী নিহত হন। আহত হয়েছেন অন্তত ৪১ জন। হামলায় সাতজন নিরাপত্তা কর্মীও আহত হয়েছেন। নিহত হয়েছেন এক সি আর পি এফ জওয়ান। এ ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনী দুই সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।
দুটি এনকাউন্টারই অমরনাথ যাত্রার সময় হয়েছিল। গত কয়েক মাসে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলা বেড়েছে। এদিকে, নির্বাচনের প্রস্তুতিও চলছে পুরোদমে। জম্মু-কাশ্মীরে শীঘ্রই বিধানসভা নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
নিরাপত্তা বাহিনী খবর পেয়েছে যে উপত্যকায় শান্তি বিঘ্নিত করার জন্য সীমান্তের ওপারে একটি ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। অনুপ্রবেশ এবং সন্ত্রাসীদের নিয়োগের জন্য বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু সন্ত্রাসীরা পরাজিত হয়েছে। পুলিশও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।