Terrorists: আল-কায়দার আদলেই ভারতে ছড়াচ্ছে হিজবুত তাহরির প্রসার! নিশানা সীমান্তের পরিযায়ী শ্রমিক

ভারতে এবার জঙ্গি (Terrorists) সংগঠন হিজবুত তাহরি প্রসার বাড়ানোর চেষ্টা করছে বলে গোয়েন্দা সূত্রের খবর। হিজুবত তাহরি নামের এই জঙ্গিসংগঠনটি (Terrorists)  বাংলাদেশ ও ভারতে নিষিদ্ধ। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে খবর আছে, এই সংগঠনের (Terrorists)   দুই সদস্য মে মাসে ভারতে আসেন। জঙ্গি সংগঠনের প্রচারের জন্য একাধিক জায়গায় বৈঠক (Terrorists)   করে। ফের বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছে (Terrorists)  । গোয়েন্দা সূত্রের খবর, এই জঙ্গি ভারতে বৈধ ভিসা (Terrorists)   নিয়েই এসেছিল।

গোয়েন্দা সূত্রের খবর এই জঙ্গিসংগঠনটি পশ্চিমবঙ্গের মালদহ, মুর্শিদাবাদ থেকে শুরু করে কোচবিহার নদিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোকে নিশানা করছে। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গের মালদহ, মুর্শিদাবাদ থেকে শুরু করে কোচবিহার নদিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর পরিযায়ী শ্রমিকদের নিশানা করছে জঙ্গি সংগঠন। পরিযায়ী শ্রমিকদের একটা বড় অংশ দক্ষিণ ভারতে কাজ করতে যায়। যার ফলে দক্ষিণ থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত যোগাযোগের সাংগঠনিক করিডোর তৈরি আপাতভাবে সহজ হবে। এই করিডরটিকেই জঙ্গি সংগঠন কাজে লাগাতে চাইছে। এই জঙ্গি সংগঠনের সরাসরি পাকিস্তানের সঙ্গে যোগ রয়েছে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ভারতে হিজবুত তাহরি-র যোগাযোগ রয়েছে। কিন্তু সেই সংগঠনের সঙ্গে বাংলাদেশের সংগঠনের যোগাযোগ মজবুত করতেই জঙ্গিরা পরিযায়ী শ্রমিকদের ব্যবহার করছে।  দক্ষিণ ভারতের সংগঠনের সঙ্গে পাকিস্তানের জঙ্গিদের সরাসরি যোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পশ্চিম এশিয়ার একাধিক সংগঠনের সঙ্গে দক্ষিণ ভারতের হিজবুত তাহরির যোগাযোগ রয়েছে বলেও গোয়েন্দারা দাবি করেছেন। ফলে দক্ষিণ ভারত থেকে প্রয়োজনে লজিস্টিক সাপোর্ট পাওয়া সম্ভব।

বাংলাদেশ লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গ এবং অসম থেকে সংগঠন করলে বাংলাদেশ থেকে ব্যাকআপ এবং প্রয়োজনে বাংলাদেশের সংগঠন এই দেশে ব্যাকআপ লজিস্টিক পাবে। প্রসঙ্গত, জেএমবি বা আল-কায়দা এই পথে ভারতে শাখা বিস্তার করেছিলেন। খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের পরেও দেখা যায় বাংলাদেশ থেকে আসা জেএমবি জঙ্গিরা দক্ষিণ ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল। মুর্শিদাবাদে আল কায়েদা মডিউল প্রকাশ্যে আসার পর ১১ জন গ্রেফতার হয়। পরে জানা যায়, এরা সবাই পরিযায়ী শ্রমিক। একই দৃশ্য হিজবুর তাহরির ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছিল।