Sandeep Ghosh: রেজিস্ট্রেশনের বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ, আদালতে গিয়ে ফের মুখ পুড়ল সন্দীপ ঘোষ

ফের আর একবার আদালতে ধাক্কা খেলেন আরজি করের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ (Sandeep Ghosh)। জানা গিয়েছে, রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অবকাশকালীন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন (Sandeep Ghosh)। এক্ষেত্রে সন্দীপ ঘোষের (Sandeep Ghosh)আইনজীবী দ্রুত শুনানির আবেদন জানান।  বিচারপতি পার্থসারথি সেন জানান, আপৎকালীন পরিস্থিতিতে এই মামলা (Sandeep Ghosh) শোনার মত গুরুত্ব নেই।

 

প্রসঙ্গত, ১৯ সেপ্টেম্বর সন্দীপ ঘোষের চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। প্রথমে সিবিআই আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল। পরে তাঁকে আরজি কর কাণ্ডে তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে এখনও কীভাবে সন্দীপ ঘোষের ডাক্তারি রেজিস্ট্রেশন রয়েছে, তা নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়। ১৯ সেপ্টেম্বর সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়। সেই রেজিস্ট্রেশন বাতিলের বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ হন সন্দীপ।  কিন্তু বিচারপতি সেন জানিয়ে দেন,  মামলাটি এখনই জরুরি ভিত্তিতে শোনার মতো তাড়াহুড়ো করার কিছু নেই।

 

অন্যদিকে, আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে সন্দীপ ঘোষকে জেরা করতে জেলে গেল ইডি। বর্তমানে সন্দীপ ঘোষ প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন। আর জি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্য়ক্ষ সন্দীপ ঘোষ, তাঁর অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষী আফসর আলি, বিপ্লব সিংহকে জেরা করতে সোমবার প্রেসিডেন্সি জেলে আসেন তদন্তকারী অফিসাররা। তদন্ত করতে গিয়ে ইডি সন্দীপ ঘোষ ও তাঁর সহকারীদের বিরুদ্ধে একাধিক প্রমাণ পেয়েছে। আলিপুর আদালতে ইডির তরফে সন্দীপ ঘোষকে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করার পরেই সোমবার ইডি প্রেসিডেন্সি জেলে যান বলে জানা গিয়েছে।

 

অন্যদিকে, আরজি কর কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসির বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ লোপাটের একাধিক প্রমাণ পেয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, গোটা ঘটনাটাকে গুরুত্বহীন করে দেখাতে চাওয়ার জন্যই তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করা হয়েছে।  এছাড়াও সন্দীপের বিরুদ্ধে রয়েছে আর জি কর মেডিক্যালে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ। তদন্তে নেমে একাধিক বেআইনি লেনদেনের তথ্য-প্রমাণ হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের।

Exit mobile version