শুক্লা রায়চৌধুরী,বারাকপুরঃ করোনা সংক্রমণ আটকাতে লকডাউন ঘোষণার পরই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল দক্ষিণেশ্বরের মা ভবতারিণী মন্দির। প্রায় দুই মাস পর আজ আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হলো মন্দিরের মূল প্রবেশদ্বার। এদিন সকালেই গোটা মন্দির চত্বর স্যানিটাইজ করা হয়।উপস্থিত ছিলেন বারাকপুরের নগরপাল মনোজ বার্মা,ছিলেন কামারহাটি পুরসভার পুরপ্রধান গোপাল সাহা এবং দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির ও দেবোত্তর এস্টেটের অছি কুশল চৌধুরী সহ অন্যান্যরা।
দক্ষিণেশ্বরের মা ভবতারিণী মন্দির আজ আনুষ্ঠানিকভাবে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হলো।তবে ভক্তদের মন্দিরে প্রবেশের ক্ষেত্রে কিছু নিয়মবিধি মেনে চলতে হবে। এখনই কেউ পুজো দিতে পারবেন না, ভক্তদের শুধুমাত্র দর্শন করানোই মূল লক্ষ্য।আগামী শনিবার থেকে প্রতিদিন দুবার করে খোলা হবে মন্দির। সকাল ৭টা থেকে বেলা ১০টা পর্যন্ত মা ভবতারিণীকে দর্শন করতে পারবেন ভক্তরা। এরপর বিকেল সাড়ে তিনটে থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছটা পর্যন্ত খোলা থাকবে মন্দির। এর আগে ২০ মিনিটের বাফার টাইম রাখা হচ্ছে। এই সময় পুরো মন্দিরচত্বর স্যানিটাইজ করা হবে। মন্দির চত্বরে ১০ থেকে ২৫ জন করে প্রবেশ করানো হবে। এর আগে স্কাই ওয়াকেই হবে থার্মাল স্ক্রিনিং।
মন্দিরে ঢোকার আগে স্যানিটেশন ট্যানেল দিয়ে প্রবেশ করতে হবে ভক্তদের। কেউ ফুল বা পুজাসামগ্রী নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। গর্ভগৃহেও প্রবেশ নিষেধ। বাইরে থেকে দর্শন করেই ফিরে যেতে হবে ভক্তদের। ডালার দোকান খোলা থাকলেও পুজাসামগ্রী মন্দিরের নির্দিষ্ট জায়গায় জমা দিতে পারবেন ভক্তরা। মন্দির কমিটির দাবি, দক্ষিণেশ্বর মন্দির নিয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করেই এগোনো হয়েছে। প্রশাসনের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হয়েছিল। করোনা সংক্রমণ রুখতে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পরই খুলে দেওয়া হচ্ছে মা ভবতারিণীর মন্দির। যদিও ১৬৫ বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবার এতদিন বন্ধ রাখতে হল ঐতিহ্যবাহী এই দেবালয় জানালেন,দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির ও দেবোত্তর এস্টেটের পক্ষ থেকে কুশল চৌধুরী ।