করুণাময়ী থেকে জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors) স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছেন। মিছিলের জন্য করুণাময়ীতে জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors) জোড় হতে শুরু করেন। ইতিমধ্যে জুনিয়র চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য ভবনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন। জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors) পাশাপাশি রাজ্যের সাধরণ মানুষ জড়ো হতে শুরু করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছিল, মঙ্গলবার পাঁচটার মধ্যে কাজে ফিরতে হবে। না হলে সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। এরপরে রাজ্য সরকারের তরফেও জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরার আহ্বান জানান। সেই পরিস্থিতিতে পাল্টা শর্ত জুনিয়র চিকিৎসকদের দেন। তাঁরা বলেন, বিকেল পাঁচটার মধ্যে তাঁদের দাবি মানলে, তাঁরা কাজে ফেরার কথা ভাবতে পারেন।
আন্দোলন প্রসঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors) বলেন, ‘সরকার পদক্ষেপ করলে কর্মবিরতি প্রসঙ্গে তাদের আবেদন নিয়ে ভেবে দেখতে পারি। অন্যথায় আমরা বুঝব, সরকার আদৌ চান না অচলাবস্থা কাটুক। সেক্ষেত্রে রাজ্য জুড়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, তার জন্য সরকারকে দায়ী করতে বাধ্য থাকব।’ সোমবার মাঝ রাতে পেরিয়ে যাওয়ার পর জুনিয়র চিকিৎসকরা সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে তাঁরা সাফ জানিয়ে দেন, রাজ্য সরকার তাঁদের দাবি না মানলে তাঁরা কাজে ফিরবেন না। পাশাপাশি তাঁরা অভিযোগ করেছেন, রাজ্য সরকার এবং কপিল সিব্বল সুপ্রিম কোর্টকে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে।
জুনিয়র চিকিৎসকরা পরিসংখ্যান পেশ করেন। সেখানে তাঁরা রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার বেহাল দশা পরিষ্কার হয়ে যায়। জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior doctors) সাংবাদিক সম্মেলনে পরিসংখ্যান গত হিসেব তুলে ধরে বলেন, “রাজ্যে মোট সরকারি হাসপাতালের সংখ্যা ২৪৫টি। যার মধ্যে মেডিক্যাল কলেজ ২৬টি। মোট জুনিয়র চিকিৎসকের সংখ্যা ৭ হাজার ৫০০-র বেশি নয়। পশ্চিমবঙ্গে রেজিস্ট্রার চিকিৎসকের সংখ্যা ৯৩ হাজার। মাত্র কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজে যেখানে সিনিয়ররা পরিষেবা দিচ্ছেন, শুধু জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতি করছেন বলে স্বাস্থ্য পরিষেবা কীভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে?”
তাঁরা অভিযোগ করেন, “চারিদিকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল খোল হচ্ছে। কিন্তু তারপরেই এত রেফার কেন করা হয়। তারপরেও জুনিয়র চিকিৎসকদের ওপর এত নির্ভর করতে কেন হয়। কেন এখনও বার বার রাজ্যের বেহাল স্বাস্থ্য অবস্থা ফুটে উঠছে। কেন পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স নেই।”