খবরএইসময়, নিউজ ডেস্কঃ মাঝে দিন কয়েক থমথমে থাকার পরে আবারও উত্তেজনা ছড়াল লাদাখের ভারত-চিন সীমান্তে। ক্রমশ জটিল হচ্ছে লাদাখ সীমান্তের পরিস্থিতি। সোমবার চলেছে গুলি। এই নিয়ে হয়েছে একপ্রস্ত দোষারোপের পালা। কিন্তু এখনও উত্তেজনা কাটেনি পূর্ব লাদাখের প্যাংগং সো লেকের দক্ষিণ অঞ্চলে। মাস খানেক আগে ঠিক যে উপায়ে ভারতীয় সেনাদের উপরে চিনা সেনা হামলা চালিয়েছিল সেই একই উপায়ে হামলার পরিকল্পনা করেছিল লালফৌজ। এমনই খবর মিলেছে সূত্র মারফত।
জানা গিয়েছে, সোমবারের ঘটনার পর আরও একবার দুই দেশের সেনা মুখোমুখি। প্যাংগং এর পাশে রেজাং লা-এ প্রায় ৪০ থেকে ৫০ চিনা জওয়ান রড আর বর্শা নিয়ে ভারতের সীমান্তের পাশে এসেছিল। যদিও ওই সকল পার্বত্য এলাকার দখল নিতে পারেনি চিনা সেনা। এখনও পর্যন্ত ওই এলাকা ভারতীয় সেনাদের দখলেই আছে।
………………….Advertisement………………..
সূত্র মারফ আরও জানা গিয়েছে যে চিনের সেনাবাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য ছিল ওই এলাকা থেকে ভারতীয় জওয়ানদের হটিয়ে দেওয়া এলাকাটির দখল নেওয়া। যদিও ভারতীয় জওয়ানদের পালটা প্রত্যাঘাতে চিনা সেনাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে এক্ষেত্রেও চিনা সেনারা একটি বিশেষ অস্ত্র নিয়ে এসেছিল ভারতীয় সেনাদের মারার জন্য। এটি আগেরবারের মতো লাঠির গায়ে পেরেক বা লোহার তার দেওয়া নয়। নয়া এই অস্ত্র হচ্ছে অনেকটা বর্শার মতো। এগুলির একদিকে বর্শার মতো ফলা থাকে। অন্যদিকটা বটির বা খাঁড়ার মতো। এটি চিনের প্রথগাত অস্ত্র। চিনের এই বিশেষ অস্ত্রটি ‘গুয়ান দাও’ নামে পরিচিত।
গতরাতে এলএসি-তে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে, যেখানে উভয় পক্ষ থেকে গুলি চালানো হয়। এমন পরিস্থিতিতে যেখানে উভয় দেশই আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের কথা বলছে, তখন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে উঠছে। চিনের তরফে ভারতের বিরুদ্ধে এই হামলার দায়ভার চাপানো হচ্ছে। তবে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে সরকারিভাবে জানিয়েছে ভারত। চিনের উস্কানি উপেক্ষা করে ভারতীয় সেনা সংযমের পরিচয় দিয়েছে বলে প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে।