নিশীথের (Nisith Pramanik) আপ্ত সহায়ক পরিচয় দেওয়া পরিমল রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের তালিকা ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। এর আগে (Nisith Pramanik) পরিমল রায়ের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ছিল। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন (Nisith Pramanik) কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগ। নিশীত প্রামানিকের আপ্ত সহায়কের পরিচয় দিয়ে খোদ বিজেপির মণ্ডল সভাপতির কাছ থেকে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে পরিমল রায়ের বিরুদ্ধে।
অমিত শাহর প্রাক্তন ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিক। তাঁর আপ্ত সহায়কের পরিচয় দিয়ে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বিশ্বনাথ শীলকে প্রতারিত করেছেন বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, তিনি বিশ্বনাথ বাবুকে বিধানসভায় টিকিট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বিনিময়ে তিনি টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিধানসভার টিকিট বা কারোর চাকরি না হওয়ার পর প্রতারিত ব্যক্তিরা পরিমল রায়ের কাছে টাকা ফেরত চান। লাগাতার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও পরিমল রায় টাকা ফেরত দিচ্ছিলেন না। এরপরেই বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বিশ্বনাথ শীল ময়নাগুড়ির থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
বিশ্বনাথ শীলের লিখিত অভিযোগের পর সোমবার ময়নাগুড়ি থানার পরিমল রায়ের বিরুদ্ধে পাঁচটা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যাঁরা অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা সবাই কোচবিহার জেলার মেঘলিগঞ্জের বাসিন্দা। ময়নাগুড়ি থানার অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, প্রায় ৭১ লক্ষ টাকার প্রতারণা করেছে পরিমল রায়।
অভিযোগকারী হিতেন্দ্র নাথ বর্মন বলেন, “আমার মেয়েকে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে চাকরি দেওয়ার নাম করে ২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে পরিমল রায়। আমরা তাঁকে নিশীথ প্রামাণিকের আপ্ত সহায়ক বলে জানতাম। মন্ত্রীর সাথে কর্মসূচিতে দেখেছি। তাই বিশ্বাস করে টাকা দিয়েছিলাম। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর চাকরি না হলে আমি টাকা ফেরত চাই। দিয়ে দেবে বলে দু বছর ধরে ঘোরাচ্ছে। আজ সংবাদ মাধ্যমে পরিমল রায়ের প্রতারণার খবর দেখলাম। তাই ময়নাগুড়ি থানায় ছুটে এসে অভিযোগ দায়ের করলাম।” অন্যদিকে, জানা গিয়েছে পরিমল রায় পলাতক। তাঁর সন্ধানে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।