রবিবার বিকেলে বনদফতর বাঘিনী (Tigress) জিনাতকে বন্দি করে। তার আগে জিনাত (Tigress) বনদফতরকে কার্যত নাকি দড়ি দিয়ে ঘুরিয়েছে। বার বার জাল পাতা হলেও জিনাত (Tigress) এড়িয়ে কার্যত জঙ্গলমহল ঘুরে বেড়ায়। শেষে বাঁকুড়ায় ঘুমের ওষুধ দিয়ে বনদফতর বন্দি করে (Tigress) বাঘিনীকে। নিয়ে আসা হয় আলিপুর চিড়িয়াখানায়। সেখানেই কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে জিনাতকে (Tigress) বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু ধরা পড়ার পর থেকেই মাংসে অরুচি দেখা যাচ্ছে জিনাতের (Tigress)। মাংস মুখের সামনে দেওয়া হলেও ছুঁয়ে দেখছে না জিনাত (Tigress)।
৯ ডিসেম্বর ওড়িশার সিমলিপালের জঙ্গল থেকে ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলে চলে যায় জিনাত। সেখান থেকে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া হয়ে শনিবার বাঁকুড়ায় প্রবেশ করে। এই কদিন এজঙ্গল থেকে সে জঙ্গলে বাঘিনী ঘুরে বেড়িয়েছে। তাই শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার জন্যই আলিপুর চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বাঘিনীর শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। তা দেখে স্বস্তি পাচ্ছেন চিকিৎসকরা। পশু চিকিৎসকরা আশঙ্কা করেছিলেন, এতদিন ধরে তাড়া খেয়ে বাঘিনী এই জঙ্গল থেকে সেই জঙ্গলে ঘুরে বেড়িয়েছিল। সেই কারণে এক্সটরনাল ইনজুয়েরি থাকার সম্ভাবনা প্রবল। কিন্তু সেধরনের কোনও চিহ্ন জিনাতের শরীরে দেখতে পাওয়া যায়নি। তবে জিনাত মাংস খেতে চাইছে না। সামনে মাংস রেখে দিলে তা ফিরেও তাকাচ্ছে না। শুধু দুধ আর জল খাচ্ছে বলে বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
এতদিন মুক্ত হয়ে জঙ্গলে ঘুরে বেরিয়েছে জিনাত। এখন বন্দি হয়ে পড়েছে। সেই কারণেই কি বাঘিনী খাওয়া ছেড়েছে! ভাবাচ্ছে পশু চিকিৎসকদের। তবে জিনাতকে আগেও বন্দি করা হয়েছে। বন্দি অবস্থাতেই মহারাষ্ট্র থেকে ওড়িশাতে নিয়ে আসা হয়েছিল। ওড়িশার সিমলিপালের জঙ্গলে বেশ কিছুদিন বন্দি অবস্থায় ছিল। তবে তিন চিকিৎসকদের বিশেষজ্ঞদের দল মনে করছে, মুক্ত থেকে বন্দি হওয়ার কারণেই মন খারাপ বাঘিনীর।