শনিবার রাতেও বাঘিনী জিনাতকে (Tigress) ধরতে একাধিক পরিকল্পনা করা হয়েছিল। জিনাতকে (Tigress) ঘুম পাড়ানি গুলি করা হবে। তাতেই ঘুমিয়ে পড়বে বাঘিনী (Tigress) জিনাত। তারপরেই জিনাতকে (Tigress) সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এটাই বনদফতরের প্ল্যান ছিল। কিন্তু বনদফতরের কর্মীদের ঘুম উড়িয়ে ঘুমের গুলিতেও চাঙ্গা থাকল জিনাত (Tigress)। গুলি খাওয়ার পর বাঘিনির (Tigress) সাময়িক ঝিমুনি এলেও পরক্ষণেই চাঙ্গা হয়ে ওঠে সে।
শনিবার ভোরে বাঁকুড়ায় প্রবেশ করে জিনাত। বাঁকুড়ার রানিবাঁধ ব্লকের গোঁসাইগ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে জালের তৈরি বন দফতরের নির্দিষ্ট ঘেরাটোপে বাঘিনী জিনাত ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে রয়েছে। এর আগে জিনাতকে জাল পেতে ধরার চেষ্টা করা হয়েছিল। গতকাল থেকেই বাঘিনীকে ঘুম পাড়ানি গুলি করে আয়ত্তে আনার চেষ্টা করছে বনদফতর। শনিবার রাতে নির্দিষ্ট ঘেরাটোপের জায়গায় তিনবার ঘুমপাড়ানি গুলি করে বনদফতরের কর্মীরা। প্রথমে শনিবার বেলা ৩ টেয়, রাত ১ টা ও রাত ৩ টায় বনদফতর জিনাতকে ঘুম পাড়ানি গুলি করে। প্রথমগুলিটা বাঘিনীর শরীর ছুঁয়েছে কিনা স্পষ্ট নয়। কিন্তু পরের দুটো গুলি বাঘিনীর শরীরে লেগেছে। গুলি খাওয়ার পরেই খানিকটা ঝিমিয়ে পড়ে বাঘিনী। তবে পরক্ষণেই ফের বাঘিনী স্বমূর্তি ধারণ করে, ফলে পিছু হঠতে বাধ্য হয় বন দফতর।
কিন্তু বাঘিনীর শরীরে গুলি যাওয়ার পরেও তার কেন প্রভাব পড়ল না, সেই বিষয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ঘুমপাড়ানি গুলিতে যে পরিমাণ ওষুধের মাত্রা দেওয়া হয়েছিল তা বাঘিনির শরীরের পক্ষে যথেষ্ট নাও হতে পারে। এছাড়াও , জিনাত তার ৩ বছর বয়সে একাধিকবার বিভিন্ন কারণে ঘুমপাড়ানি গুলি খেয়েছে, ফলে তার শরীরে ঘুমপাড়ানি গুলির ওষুধের রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়ে গিয়েছে। সেই কারণে বাঘিনীর শরীরে ঘুমের ওষুধে কোনও প্রভাব পড়ছে না বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।