বাঘিনীর (Tigress Zeenat) ভয়ে কার্যত কাঁপছে ঝাড়খণ্ড ও ঝাড়গ্রামের সীমান্তের বাসিন্দারা। মঙ্গলবারই খবর পাওয়া গিয়েছিল, ঝাড়গ্রামের সীমান্ত লাগোয়া জঙ্গলে দেখা গিয়েছিল বাঘ (Tigress Zeenat)। পরবর্তীতে বনদফতরের তরফে জানানো হয়েছে, যাকে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল, সে আসলে বাঘ নয়, বাঘিনী (Tigress Zeenat)। বনদফতর সূত্রের খবর, সেই বাঘিনীর নাম জিনত (Tigress Zeenat)। তিনি আসলে মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা।
বনদফতর সূত্রের খবর, জিনতের এখন তিন বছর বয়স। গত ১৫ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের তাডোবা-আন্ধেরি ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকে তাকে নিয়ে আসা হয় ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্পে। বর্তমানে জিনত নিজের জায়গা ছেড়ে প্রতিবেশী রাজ্যের জঙ্গলে ঢুকে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। বনদফতর সূত্রের তরফে সতর্ক করে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সীমানা পেরিয়ে বাঘিনী জিনাত এখন অন্য রাজ্যের সীমানায় প্রবেশ করেছে। বাঘিনীর গলায় রেডিও টেপ পরিয়ে কয়েক দিন চোখে চোখে রাখা হয়েছিল। তারপরেই জিনাতকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপরেই গত রবি ও সোমবার জিনতকে প্রতিবেশী ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। ঝাড়খণ্ডের বনবিভাগের তরফে সেই খবর দেওয়া হয়। জানানো হয়, সিমলিপালের উত্তর দিক লাগোয়া যে জঙ্গল রয়েছে, সেখানে ঢুকে পড়েছে জিনত। কিন্তু মঙ্গলবার জিনতকে ঝাড়খণ্ড ও ঝাড়গ্রাম সীমান্তের একটি জঙ্গলে দেখতে পাওয়া গিয়েছে।
সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা প্রকাশচন্দ গোগিনেনি বলেন, জিনত এক জঙ্গল থেকে অন্য জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে সে সুস্থ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট বনবিভাগের আধিকারিকদের কাছে সমস্ত তথ্য রয়েছে। ঝাড়খণ্ড বনবিভাগের তরফেও এই বিষয়ে জানানো হয়েছে। জামশেদপুরের বনবিভাগ জিনতের ওপর নজর রাখছে বলে জানা গিয়েছে। গত কয়েকদিন সে মূলত চাকুলিয়া রেঞ্জের জঙ্গলে ঘোরাফেরা করেছে। সে শিকারও করেছে। সেই বনাঞ্চল থেকে গবাদি পশুর দেহাবশেষ পাওয়া গিয়েছে। সেখান থেকেই মনে করা হচ্ছে, সে সুস্থ রয়েছে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, তার গলায় রেডিও টেপ পরানো রয়েছে। তাই সে কোথায় যাচ্ছে, তা নজরে রাখতে বিশেষ অসুবিধা হচ্ছে।