নয়দিন ধরে বাঘিনী (Tigress) জিনাত বনদফতরের কর্মীদের কার্যত নাকানি চোবানি খাইয়েছে। অবশেষে রবিবার বিকেলে বাঁকুড়ার গোঁসাইডিহিতে চতুর্থ ঘুমপাড়ানি গুলি খেয়ে ধরা দেয় বাঘিনী (Tigress)। তাঁকে বর্তমানে আলিপুর চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসা হয়েছে। সিমলিপালের জঙ্গল হয়ে ঝাড়খণ্ড, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও সব শেষে বাঁকুড়া সফর করে ক্লান্ত জিনাত (Tigress)। তাকে (Tigress) বেশ কিছুদিন বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছে বিশেষজ্ঞরা। সেখানে তাকে ওবজারভেশনে রাখা হবে। তারপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জিনাতকে কোথায় রাখা হবে।
রবিবার রাত ১২ টা ১০ মিনিটে বিশেষ কনভয় নিরাপত্তায় আলিপুরের পশু হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে জিনাতকে। ওড়িশা বনদফতরের সঙ্গে আলোচনা করেই চিকিৎসা শুরু হয়। বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত ৯ দিন ধরে দীর্ঘ পথ ঘুরে, মানুষের তাড়া খেয়ে ক্লান্ত বাঘিনি। এই কয়েকদিনে ঠিকমতো খাবার পায়নি সে। তাই এখন দরকার সঠিক খাবার এবং বিশ্রাম। তার যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। আলাদা এনক্লোজারে রেখে চিকিৎসা চলছে তাঁর। গত দুই দিনে চার বার ঘুম পাড়ানি গুলি খেয়েছে বাঘিনী। সেই গুলি বাঘিনীর শরীরে কতটা প্রভাব ফেলেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বনদফতর সূত্রে খবর, বাঘিনীকে সুস্থ করে তাকে ফের ওড়িশাতেই পাঠানো হবে। কিন্তু কবে তাকে ওড়িশায় পাঠানো হবে, তা জিনাতের শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, অক্টোবর-নভেম্বরে মহারাষ্ট্রের তাডোবা-অন্ধেরী টাইগার রিজার্ভ থেকে জিনাত ও যমুনা নামের দুটি বাঘিনীকে সিমলিপাল জাইগার রিজার্ভে আনা হয়। জিনাত প্রথমে সিমলিপাল ফরেস্টের নর্থ কোরে ছিল। ২৪ দিন তাকে নজরে রাখা হয়েছিল। ৯ ডিসেম্বর রাতে সিমলিপাল ফরেস্ট থেকে পালিয়ে যায়। প্রথমে ৩৫ কিলোমিটার দূরে ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলে যায়। সেখান থেকে ঝাড়গ্রামে যায়। সেখান থেকে পুরুলিয়া হয়ে এখন বাঁকুড়ায়। প্রথম দিকে, প্রথমে জিনাতের ওপর বনদফতর প্রথমে নজর রাখছিল। কিন্তু পরে তাকে ধরার জন্য একাধিক ফাঁদ পাতা হয়। কিন্তু প্রতিবার সেই ফাঁদ এড়িয়ে চলে যায় জিনাত। সব শেষে রবিবার ধরা পড়ে জিনাত।