সদ্য যুবতী বাঘিনী (Tigress) জিনাত কার্যত কালঘাম ছুটিয়ে দিচ্ছে বনদফতরের কর্মীদের। শুক্রবার রাতে পুরুলিয়ার মানবাজারের ২ নম্বর ব্লকের পাইঁসাগোড়া জঙ্গলে জিনাতের (Tigress) জন্য জাল পাতা হয়েছিল। সেই জাল টপকে বাঘিনী (Tigress) জিনাত পুরুলিয়া পেরিয়ে বাঁকুড়ায় প্রবেশ করেছে। পুরুলিয়ার জঙ্গল (Tigress) ছেড়ে বাঘিনী জিনাতের নয়া ডেরা এবার বাঁকুড়ার মুকুটমনিপুরে।
বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে কুমারী নদী পার করে কাঁসাইয়ের পার ধরে পুরুলিয়ার মানবাজার ১ ব্লকের ধানখাড়া পেরিয়ে সপ্তাহান্তে বাঁকুড়ায় প্রবেশ করেছে জিনাত। বাঁকুড়ার মুকুটমনিপুরের পর্যটনস্থলের কাছে কোথাও ডেরা বেঁধেছে বলে জানা গিয়েছে। জিনাত ধরতে একের পর এক টোপ দেওয়া হচ্ছে। পাতা হচ্ছে জাল। সেই জাল বার বার টপকে যাচ্ছে জিনাত। বর্তমানে মুকুটমনিপুরে অবস্থান করার সেখানের সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। জিনাতের গলায় রেডিও কলার রয়েছে। তার মাধ্যমেই জানা যাচ্ছে মুকুটমনিপুরের জলাধারের কাছে জিনাত অবস্থান করছে।জিনাতের উপস্থিতির খবর ছড়িয়ে পড়তেই নতুন করে মুকুটমনিপুরে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
শুধু রেডিও কলারের সাহায্যেই নয়, ড্রোন ভিশনে জিনাতের গতিবিধির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। চার ঘণ্টা অন্তর জিনাতের স্যাটেলাইট লোকেশন জানতে পারা যাচ্ছে। বনদফতরের কর্মীদের সূত্রে খবর, শুক্রবারের রাতে জলাধারের জল এড়িয়ে সন্তর্পণে পা ফেলে এগিয়েছে বাঘিনী।
প্রসঙ্গত, অক্টোবর-নভেম্বরে মহারাষ্ট্রের তাডোবা-অন্ধেরী টাইগার রিজার্ভ থেকে জিনাত ও যমুনা নামের দুটি বাঘিনীকে সিমলিপাল জাইগার রিজার্ভে আনা হয়। জিনাত প্রথমে সিমলিপাল ফরেস্টের নর্থ কোরে ছিল। ২৪ দিন তাকে নজরে রাখা হয়েছিল। ৯ ডিসেম্বর রাতে সিমলিপাল ফরেস্ট থেকে পালিয়ে যায়। প্রথমে ৩৫ কিলোমিটার দূরে ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলে যায়। সেখান থেকে ঝাড়গ্রামে যায়। সেখান থেকে পুরুলিয়া হয়ে এখন বাঁকুড়ায়। প্রথম দিকে, প্রথমে জিনাতের ওপর বনদফতর প্রথমে নজর রাখছিল। কিন্তু পরে তাকে ধরার জন্য একাধিক ফাঁদ পাতা হয়। কিন্তু প্রতিবার সেই ফাঁদ এড়িয়ে চলে যায় জিনাত। তবে বনদফতর তাকে ধরার আপ্রাণ চেষ্টা করেই চলেছে।