১৩ নভেম্বর নৈহাটি (Naihati) সহ রাজ্যের ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। সেই উপনির্বাচন নিয়ে জোর প্রচার শুরু হয়েছে। অন্যান্য কেন্দ্রের মতো নৈহাটি (Naihati) জোর প্রচার শুরু হয়েছে। যদিও নৈহাটিতে (Naihati) কংগ্রেস ও বামের তরফেও প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞ মহল করেছে, আসল লড়াই বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে তূণমূলের প্রার্থীর হবে। হবে জোর টক্কর। কিন্তু এই লড়াইয়ে কোথায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থী সনৎ দে ও বিজেপি প্রার্থী রূপক মিত্র।
তৃণমূলের প্রার্থী সনৎ দের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন বিজেপির প্রার্থী রূপক মিত্র। একদিকে সনৎ দের নামের পাশে যখন দক্ষ সংগঠক উপাধি জ্বল জ্বল করছে। ঠিক সেই সময় রূপক মিত্রকে কেন্দ্র করে বিজেপি কার্যত দ্বিধাভক্ত হয়ে গিয়েছে। রূপক মিত্রের হয়ে অর্জুন সিং প্রচারে নামলেও অনেক বিজেপি নেতাই এখনও নিষ্ক্রীয় ভূমিকা পালন করছে। পাশের কেন্দ্র ভাটপাড়ার বিজেপি বিধায়ক পবন সিংকে এখনও পর্যন্ত বিজেপির প্রার্থী রূপক মিত্রের হয়ে প্রচারে দেখতে পাওয়া যায়নি। যদিও শান্তনু ঠাকুর ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রচার করেছেন। কিন্তু সেভাবে দেখা যায়নি বিজেপির অন্যান্য নেতাদের।
নৈহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পুরসভার ৩১টি ওয়ার্ড এলাকা ছাড়াও রয়েছে কাপা-চাকলা, পলাশি-মাঝিপাড়া, জেঠিয়া, শিবদাসপুর এবং আরও চার পঞ্চায়েত। ভোটার সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৯০ হাজার। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক বিজেপি প্রার্থী ফাল্গুনী পাঠককে ১৮ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন। তবে উপনির্বাচনের ক্ষেত্রে তৃণমূল নৈহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য ৫০ হাজার ভোটের লক্ষ্য মাত্রা নিয়েছে। তৃণমূলের তরফে ভরসা করা হচ্ছে স্থানীয় কাউন্সিলর সনৎ দের ওপর।
তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে দলের সদস্য সনৎ দে। নৈহাটির দক্ষ সংগঠন হিসেবে তিনি পরিচিত। টাউন সভাপতি হিসেবে সংগঠনকে যেমন মজবুত করেছেন, তেমনই তাঁর দাপটও এলাকায় সর্বজনবিদিত। অন্যদিকে, সনৎ দে-কে জেতাতে বাংলার ফুটবলের তিন প্রধান থেকে আইএফএ সচিবও ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। অন্যদিকে, সনৎ দে জানান, পার্থ ভৌমিক মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে দিয়েছেন, ৫০ হাজার ভোটে জিতবে তৃণমূল।