আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar)প্রতিবাদ মিছিলে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। টালিগঞ্জের করুণাময়ীতে (RG Kar) এই হামলার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তীর তৃণমূল কাউন্সিলর রত্না শূরের দিকে। অভিযোগ, রত্না শূরের নেতৃত্বে আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডের প্রতিবাদ মিছিলে হামলা চালানো হয়। রেহাই দেওয়া হয়নি শিশু মহিলাদের। হরিদেবপুর থানায় ইতিমধ্যে তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে (RG Kar) অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, একাধিকবার আরজি করের প্র(RG Kar) তিবাদ মিছিলে শাসকদলের নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ আসছে। এর আগে কোচবিহারে ৪ সেপ্টেম্বর রাত দখলের কর্মসূচিতে হামলার অভিযোগ আসে। তখনও মাথাভাঙার এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। সাংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় ওই নেতাকে স্পষ্ট দেখা যায়। রাত দখলের সেই কর্মসূচিতে প্রবীণ নাগরিকদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মাথাভাঙায় রাস্তায় প্রতিবাদ চেয়ে করা গ্রাফিটি মুছে মেলা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
কাঁথির পোস্ট অফিস মোড়ে মহিলা প্রতিবাদীর ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। হাতে লেখা পোস্টার গলায় ঝুলিয়ে প্রতিবাদ করছিলেন। সেই সময় ওই মহিলার ওপর হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার পাশাপাশি মহিলাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ। মহিলার ওপর হামলার প্রতিবাদে পোস্ট অফিস মোড় অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা।
এছাড়াও নৈহাটি একটি প্রতিবাদ মিছিলে হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। একটি স্কুলের প্রাক্তনীদের সেই মিছিল ছিল। সেখানকার শিক্ষকদের মারধর করা হয়। মহিলাদের সঙ্গে অসভ্য ব্যবহার করা হয়। মহিলাদের পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযো ওঠে। বার বার অভিযোগের তীর যায় শাসকদলের বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার চিকিৎসকরা কলেজ স্কোয়ার থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেন। সেই মিছিলে চিকিৎসকদের পাশাপাশি অনেক সাধারণ মানুষ যোগ দেন। বুধবার মহালয়ার দিন জুনিয়র চিকিৎসকরা মহামিছিলের ডাক দিয়েছেন। সেখানে ব্যাপক জনসমাগম হবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, জুনিয়র চিকিৎসকরা ১০ দফা দাবি জানিয়ে ফের কর্মবিরতি শুরু করেছেন। মঙ্গলবার থেকেই সেই কর্মবিরতি শুরু হয়েছে।