বীরভূমের (Birbhum) রাজনীতিতে টানাপোড়েন যেন শেষ হবার নয়। এবার সিউড়ি উৎসবকে (Birbhum) ঘিরে আলোচনার কেন্দ্রে অনুব্রত মণ্ডল ও জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ। উৎসবের আমন্ত্রণপত্রে তৃণমূলের জেলা (Birbhum) সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, সাংসদ শতাব্দী রায়, বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের নাম থাকলেও, জেলা (Birbhum) পরিষদের সভাধিপতি এবং তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখের নাম নেই।
এই নিয়ে বিতর্ক যখন তুঙ্গে, তখন কাজল শেখ বিষয়টিকে হালকাভাবে নেওয়ার কথা বলেছেন। তাঁর সাফ বক্তব্য, “কে কাকে আমন্ত্রণ জানাবে বা জানাবে না, সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমাকে ডাকা হয়নি, তাই আমি সেখানে যাব না।” তবে এই মন্তব্য বিতর্ককে থামাতে পারেনি।
বীরভূমের তৃণমূল নেতারা এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। কিন্তু বিরোধীরা এই সুযোগে তৃণমূলের অন্দরকলহ নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনি। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী কটাক্ষ করে বলেন, “কাজল শেখ হলেন জেলার মুখ্যমন্ত্রী। অথচ তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না। তৃণমূল প্রয়োজন অনুযায়ী মানুষকে ব্যবহার করে। কাজ শেষ হলে তাদের অবহেলা করা হয়। কাজল শেখ তো এখন দুধেল গাই। যতক্ষণ দুধ দেবে, ততক্ষণ ব্যবহার করা হবে। দুধ শেষ হলে বিক্রির জন্য তোলা হবে।”
সিউড়ি উৎসব সাধারণত জেলার ঐক্যের বার্তা দেওয়ার মঞ্চ। কিন্তু এবারের অনুষ্ঠান আয়োজন ঘিরে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, তা দলীয় অস্বস্তি বাড়িয়েছে। কাজল শেখকে বাদ দেওয়া শুধুই প্রশাসনিক ভুল নাকি দলীয় রাজনীতির ইঙ্গিত, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। বীরভূমের রাজনীতিতে সিউড়ি উৎসবের এই নতুন চাপানউতোর আরও কতটা প্রভাব ফেলবে, তা দেখার বিষয়।