মালদার তৃণমূল নেতা (TMC Leader) দুলাল সরকারের খুনের ঘটনায় পুলিশ বড় সাফল্য পেয়েছে। মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যার মধ্যে ২ জন বিহারের এবং ২ জন মালদার ইংরেজবাজারের বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে বিহারের দু’জন পেশাদার সুপারি কিলার। এছাড়াও, ঘটনায় আরও এক সন্দেহভাজন পলাতক রয়েছে।
তদন্তে উঠে এসেছে, খুনের পরিকল্পনা বহুদিন আগে থেকেই করা হয়েছিল। দুষ্কৃতীরা ১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে মালদায় অবস্থান করেছিল। তৃণমূল নেতার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে এবং রেকি চালিয়ে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে তারা। পুলিশের দাবি, সুপারি কিলাররা অত্যন্ত পেশাদার এবং তাদের লক্ষ্য সুনির্দিষ্ট ছিল।
গতকাল গ্রেফতার হওয়া দুই সুপারি কিলারের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে, যা খুনের পুরো ষড়যন্ত্র উন্মোচনে সাহায্য করবে।
এই ঘটনায় মালদার রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা চরমে। পুলিশ জানিয়েছে, পলাতক অভিযুক্তকে ধরতে তল্লাশি জারি রয়েছে। দুলাল সরকারের খুনের পেছনে ব্যক্তিগত শত্রুতা না রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, তা জানতে তদন্তে আরও গতি আনা হয়েছে।
ঘটনায় একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ পেয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, দোকানের বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন কাউন্সিলর দুলাল সরকার। দুই যুবক মাফলার পেঁচিয়ে তাঁর কাছে আসে। তাদের হাতে বন্দুক ছিল। সেই সময় ভয়ে দুলাল সরকার দোকানের ভিতর পালিয়ে আসেন। দুই যুবক গুলি চালাতে চালাতে দোকানের ভিতর ঢুকে পড়ে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, একজন বন্দুকের ট্রিগার টিপলেও গুলি বের হয় না। সেই সময় অন্য দুষ্কৃতী গুলি করতে থাকে। একটি গুলি মাথা ফুঁড়ে যায় দুলালের।ঘটনার সময় দোকানে অন্যান্য কর্মচারীরা ছিলেন। ঘটনায় তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। দুলাল সরকার গুলিবিদ্ধ হয়ে দোকানের ভিতরেই লুটিয়ে পড়েন। সেই সময় দোকানের কর্মচারীরা তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। সেই সময় দুষ্কৃতীরা মোটর সাইকেলে উঠে চম্পট দেয় বলে জানা গিয়েছে।