মালদায় সাত সকালে তৃণমূল কাউন্সিলর (TMC Leader) তথা জেলা সহ-সভাপতিকে গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা। দুষ্কৃতীদের ভয়ে দোকানের ভিতর ঢুকে গিয়েছিলেন কাউন্সিলর (TMC Leader) । দুষ্কৃতীরাও দোকানের ভিতর ঢুকে তাঁকে (TMC Leader) তাক করে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে হত্যা করে। ইতিমধ্যে এই নির্মম হত্যার (TMC Leader) সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। সেই ভিডিও দেখলে কার্যত আঁতকে উঠতে হবে (TMC Leader) । ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী পুলিশের ভূমিকা (TMC Leader) নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, দোকানের বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন কাউন্সিলর দুলাল সরকার। দুই যুবক মাফলার পেঁচিয়ে তাঁর কাছে আসে। তাদের হাতে বন্দুক ছিল। সেই সময় ভয়ে দুলাল সরকার দোকানের ভিতর পালিয়ে আসেন। দুই যুবক গুলি চালাতে চালাতে দোকানের ভিতর ঢুকে পড়ে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, একজন বন্দুকের ট্রিগার টিপলেও গুলি বের হয় না। সেই সময় অন্য দুষ্কৃতী গুলি করতে থাকে। একটি গুলি মাথা ফুঁড়ে যায় দুলালের।ঘটনার সময় দোকানে অন্যান্য কর্মচারীরা ছিলেন। ঘটনায় তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। দুলাল সরকার গুলিবিদ্ধ হয়ে দোকানের ভিতরেই লুটিয়ে পড়েন। সেই সময় দোকানের কর্মচারীরা তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। সেই সময় দুষ্কৃতীরা মোটর সাইকেলে উঠে চম্পট দেয় বলে জানা গিয়েছে।
দুলাল সরকার তৃণমূল কাউন্সিলর ও প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি। জানা গিয়েছে, তিনি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত আস্থাভাজন ছিলেন। এই কথা নিজে স্বীকার করেছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় দুলাল সরকারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি দুলাল সরকারের মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “বাবলা (দুলাল সরকার) ও তাঁর স্ত্রী চৈতালী তৃণমূলের কংগ্রেসের শুরুর দিন থেকে অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করেছে। তাঁর মৃত্যুতে আমি শোকস্তব্ধ। চৈতালীকে সমবেদনা জানানোর কোনও ভাষা পাচ্ছি না।”
- এদিন ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় বিডিওকে। মালদহের বিডিও-র উদ্দেশে মমতা বলেন, “মালদহে আজ খুন হয়ে গেল আমাদের পুরসভার একজন প্রতিনিধি। এসপি-র অপদার্থতার জন্য। আগেও অনেকবার হামলা হয়েছে।” পাশাপাশি তিনি বলেন, সীমান্ত ও কালিয়াচক নিয়ে ব্যস্ত থাকলে রাজ্যের উন্নয়ন হবে না।