তৃণমূল কংগ্রেসে (TMC MLA) নেমে এসেছে শোকের ছায়া। প্রয়াত হলেন নদিয়ার কালীগঞ্জের বিধায়ক (TMC MLA) নাসিরুদ্দিন আহমেদ। শনিবার গভীর রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে (TMC MLA) দ্রুত পলাশি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে ৭০ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই প্রবীণ নেতা (TMC MLA) । তাঁর (TMC MLA) প্রয়াণে পরিবার, সহকর্মী ও দলের কর্মীদের মধ্যে শোকের আবহ ছড়িয়ে পড়েছে।
নাসিরুদ্দিন আহমেদ পেশায় ছিলেন একজন আইনজীবী। ২০১১ সালে প্রথমবার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন। তবে ২০১৬ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস-সিপিএম জোটের প্রার্থী শেখ হাসানুজ্জামানের কাছে পরাজিত হন। পরবর্তী সময়ে হাসানুজ্জামানও তৃণমূলে যোগ দেন। ২০২১ সালের নির্বাচনে ফের জয়ী হয়ে বিধায়ক হন নাসিরুদ্দিন।
জনপ্রিয় এই নেতাকে এলাকার মানুষ ‘লাল’ নামেই চিনতেন। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য পরিচিত ছিলেন তিনি। বলা হয়, কখনোই কাউকে খালি হাতে ফেরাতেন না। তাঁর মৃত্যুতে নদিয়ার রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিধায়ক নাকাশিপাড়ার কল্লোল খাঁ স্মৃতিচারণ করে বলেন, “বিকেলে লালের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল, তখন তো ওঁর শরীর ভালোই ছিল। কিন্তু এখন শুনলাম, সব শেষ! বিশ্বাস করতে পারছি না, লাল আমাদের মধ্যে নেই।”
২০২৬ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন আছে। আর তার একবছর আগেই কালীগঞ্জ বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদ প্রয়াত হলেন। এই ঘটনা রাজ্য নেতৃত্বের কাছেও পৌঁছে গিয়েছে। দলের কাছে তাই আজ, রবিবার শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নাকাশিপাড়ার বিধায়ক কল্লোল খাঁ এই বিষয়ে বলেন, ‘বিকেলে লালের সঙ্গে কথা হয়েছিল টেলিফোনে। তখনও তো ওঁর শরীর ভাল ছিল বলেই জানতাম। কিন্তু এখন শুনলাম সব শেষ হয়ে গিয়েছে। বিশ্বাস করতে পারছি না যে লাল আমাদের মধ্যে নেই। ওঁর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আর রাজনৈতিক পথ চলা হবে না।’