ফের বিতর্কের শিরোনামে তৃণমূল (TMC MLA)। এবার বিধানসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক তথা পানিহাটির বিধায়ক (TMC MLA) নির্মল ঘোষের বিরুদ্ধে এক মহিলাকে ফ্লায়িং কিস দেওয়ার অভিযোগ উঠল। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও (TMC MLA) পোস্ট করেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। অন্যদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) যে মহিলাকে ভিডিও কলে ফ্লায়িং কিস দিয়েছেন, তিনি পেশায় বার ডান্সার।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষের ভিডিও পোস্ট করেন সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির রাজ্যসভাপতি সেই ভিডিও পোস্ট করে লেখেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিয়ো দেখা যাচ্ছে তা শুধু লজ্জাজনক নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে মহিলাদের অবস্থা নিয়ে প্রভূত আতঙ্ক তৈরি করে। রাজ্যের মহিলারা লাগাতার দুষ্কৃতীদের দানবীয় ক্ষুধার শিকার হচ্ছেন। কিন্তু তারা কোনও সুবিচার পাচ্ছেন না। শাসকদলের ছত্রছায়াতেই এই নির্মম ঘটনাগুলো ঘটে চলেছে।’
সুকান্ত মজুমদার সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘ভিডিয়োতে যে ভদ্রলোককে দেখা যাচ্ছে তিনি নির্মল ঘোষ। রাজ্য বিধানসভায় শাসকদলের মুখ্য সচেতক। এই নেতার প্রভাব ব্যবহার করেই প্রমাণ লোপাট করতে আরজি কর হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসকের দেহ বেআইনিভাবে দাহ করা হয়েছে। একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী এই ধরণের নেতাদের দিয়ে রাজ্য চালাচ্ছেন। অবমাননাকর।’
This video circulating on social media is not only shameful but also a cause of immense fear for the women of West Bengal! Under the misrule of the Chief Minister @MamataOfficial, women across the state are repeatedly falling victim to the monstrous desires of criminals, without… pic.twitter.com/fMJzROflqJ
— Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) November 21, 2024
বুধবার সন্ধ্যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই বিষয়ে বিবৃতি দেন। তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে আমি এত মহিলাকে টিকিট দিয়েছি, তারা মহিলাকে কি নজরে দেখছেন বা কী উদ্দেশ্যে রাজনীতিতে নিয়ে আসছেন এই সমস্ত লিডারদের দেখে তো বোঝাই যাচ্ছে।’ অন্যদিকে, শুভেন্দু অধিকারী নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে লেখেন, যে মহিলাকে তৃণমূল বিধায়ক ফ্লায়িং কিস দিচ্ছেন, তিনি পেশায় বার ডান্সার।
তৃণমূলের তরফে এই বিষয়ে এখনও কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি। তবে তৃণমূল বিধায়কের এই ধরনের কাজে যে দল যথেষ্ঠ অস্বস্তিতে পড়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।