তৃণমূলের (TMC Leader) কর্মসমিতির বৈঠক হয় ২৫ নভেম্বর। তারপরেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত দলের তরফে নেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের (TMC Leader) তরফে ১২ জনের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাঁরাই এবার থেকে দলের বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের কাছে বিবৃতি দেবেন। সেই তালিকায় অনেক পুরনো নাম (TMC Leader) বাদ গিয়েছে। যার জেরে চাপা রাজনৈতিক চাপান উতোর শুরু হয়েছে। বাদ পড়া সেই মুখপাত্রদের (TMC Leader) ফোন করলেন তৃণমূল নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন। জানা গিয়েছে, তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই ডেরেক ও ব্রায়েন তাঁদের ফোন করেন।
তৃণমূলের মুখপাত্রদের নয়া তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন অরূপ চক্রবর্তী, ঋজু দত্ত, সুদীপ রাহা, কোহিনুর মজুমদার। তৃণমূলের এই নেতারা অভিষেকপন্থী হিসেবে পরিচিত। বৃহস্পতিবার তাঁদের ডেরেক ও ব্রায়েন ফোন করেন বলে জানা গিয়েছে। কনফারেন্স কলে তাঁদের সঙ্গে কথা হয় তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদের। জানা গিয়েছে, কনফারেন্স কলে ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, ‘উই আর শকড’ (আমরা বিস্মিত)। নেতাদের পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন । তিনি জানিয়েছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে গোটা বিষয়টি জানাবেন। মুখপাত্ররা খুব ভাল কাজ করেছেন বলে প্রশংসাও করেন তিনি।
অন্যদিকে, মুখপাত্রদের তালিকা থেকে বাদ পরার পরেই নিজের প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন তৃণমূলের নেতা অরূপ চক্রবর্তী। দলের সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নেবেন বলে জানান। তবে তিনি বলেন, খারাপ সময়ে দলের হয়ে কথা বলতে গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে গালিগালাজ খেয়েছেন।
২৫ নভেম্বর তৃণমূলের কর্মসমিতির বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া সমস্ত মুখপাত্র প্রতিটি বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারবেন না। মুখপাত্রদের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। কোন নেতা কোন বিষয়ে কথা বলবেন, তা তৃণমূলের কর্মসমিতির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেখানেই এই চারটি নাম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে মুখপাত্রদের তালিকা থেকে কেন চারটি নাম বাদ দেওয়া হল, সেই নিয়ে কোনও ব্যাখা তৃণমূলের তরফে দেওয়া হয়নি।