আরজি কর কাণ্ডে একাধিকবার মুখ খুলেছিলেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ (TMC MP) সুখেন্দু শেখর রায়। তারপর থেকেই দলের সঙ্গে তাঁর দুরত্ব বাড়তে শুরু করেছিল (TMC MP)। সম্প্রতি তৃণমূলের কর্মসমিতির বৈঠক হয়। সেখানেও ডাক পাননি তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ (TMC MP) সুখেন্দু শেখর রায়। জানা গিয়েছে, এবার রাজ্যসভায় নিজের আসন (TMC MP) বদলের জন্য চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের কাছে আবেদন করেছেন। এরপর থেকেই একাধিক জল্পনা শুরু হয়েছে। সুখেন্দু শেখর রায় (TMC MP) দলের সঙ্গে দুরত্ব বাড়াতে শুরু করেছেন বলে জল্পনা দেখা দিয়েছে।
আরজি কর কাণ্ডের পর থেকে উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজ্য। ১৪ আগস্ট রাত দখলের ডাক দেয় নাগরিক সমাজের একাংশ। সেই সময় তিনিও পথে নেমেছিলেন। শুধু তাই নয়, একাধিকবার নাগরিক সমাজের আন্দোলনে পা মিলিয়েছিলেন। কখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় তো কখনও সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি আরজি করের নির্যাতিতার বিচার চেয়ে সরব হয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁরও নাতনি রয়েছে, তাঁরও মেয়ে রয়েছে। আরজি করের কাণ্ডে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। সেই সময় তিনি গান লিখেও প্রতিবাদ করেছিলেন। এমনকী সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার জেরে তাঁকে লালবাজার থেকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। তবে তাঁর বক্তব্য নিয়ে দলের কোনও নেতা মন্ত্রী সরাসরি সেই সময় মুখ খোলেননি। তবে তাঁর বক্তব্যকেও কোনও নেতা সমর্থন করেননি। অন্যদিকে, ২৫ নভেম্বর তৃণমূলের কর্মসমিতির বৈঠক হয়। সেখানে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় ডাক পাননি।
এই পরিস্থিতিতে সুখেন্দু শেখর রায় রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের কাছে চিঠি দিয়ে আসন বদলানোর আবেদন করেন। যার জেরে সুখেন্দু শেখর রায় দলের সঙ্গে দুরত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করছেন বলে জল্পনা উঠছে। যদিও জগদীপ ধনখড়ের কাছে আবেদনে সুখেন্দু শেখর বলেন, তাঁর শরীর বিশেষ ভালো নয়, চলাফেরার অসুবিধা হচ্ছে। সেই কারণে তিনি প্রথম সারি থেকে পিছনের সারির আসনে যেতে চাইছেন।
এই প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূলে তো একটাই পদ। সুখেন্দুবাবু অনেক পুরনো সাংসদ। কিন্তু আর জি কর কাণ্ডে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। দল ওঁকে সর্তক করেনি, আবার জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকেও ডাক পাননি। তৃণমূল ওঁকে চাইছে না। উনিও হয়তো থাকতে চাইছেন না।”