ভগবানপুরের মাটি আবারও কাঁপাল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। বিজেপির অন্যতম শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুরের এই অঞ্চলে, তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) ইক্ষুপত্রিকা সমবায় সমিতির নির্বাচন জিতল। বুধবার, ১২টি ডেলিগেট আসনে নির্বাচনের মাধ্যমে তৃণমূল (TMC) প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। এই নির্বাচনে মোট ৩২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং ৭৪৬টি ভোট পড়েছিল, যার মধ্যে সবকটি আসনে বিজয়ী হয় তৃণমূল প্রার্থীরা (TMC)।
এটি শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক প্রভাবশালী এলাকা হিসেবে পরিচিত ভগবানপুরে বিজেপির একটি বড় হারের প্রতিফলন। বিজেপি অনেক চেষ্টা করেছিল সমবায় সমিতি জয়ী করতে, কিন্তু ভোটারদের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি সমর্থন দৃঢ় ছিল। এমনকি, কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সহ-সভাপতি শশাঙ্কশেখর জানার বিজেপিতে যোগদানও ভোটারদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি করেছিল।
তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা এই জয়কে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং সমবায় সমিতির নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর তাঁরা আনন্দে মেতে উঠেছেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মানব পড়ুয়া বলেছেন, “এটি প্রমাণিত যে মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সঙ্গে আছেন। যারা তৃণমূল কংগ্রেস থেকে দলবদল করেছেন, তাদেরই মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন।”
বিজেপি অবশ্য এই পরাজয়কে সহজভাবে নেননি। কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল দাবি করেছেন, “তৃণমূল কংগ্রেস শুধু সমবায় সমিতির ভোট দিয়ে নিজেদের জায়গা পাকা করতে চাইছে, তবে মানুষের মধ্যে তাদের গ্রহণযোগ্যতা কমে গেছে। সমবায় নির্বাচন প্রতীকে হয় না, তাই এখানে রাজনৈতিক দলগুলোর নাম ব্যবহার করা উচিত নয়। তৃণমূল কংগ্রেসের পায়ের তলার মাটি আলগা হয়ে গিয়েছে।”
এই সমবায় সমিতির নির্বাচন কেবল একটি স্থানীয় ভোট নয়, বরং এটি স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনেও প্রভাব ফেলেছে। বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে এই সমবায় নির্বাচনে হারের জয় আদান-প্রদান রাজনৈতিক গরমের বিষয় হয়ে উঠেছে, যা আগামী দিনগুলোতে আরো গুরুত্ব পেতে পারে।