রবিবার তৃণমূলের(TMC) একুশের সমাবেশ। গোটা রাজ্য সেদিন কলকাতামুখী। নিরাপত্তায় বাড়তি জোর দিচ্ছে কলকাতা পুলিশ। ইতিমধ্যেই ব্লু-প্রিন্ট ছকে ফেলা হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ২১ জুলাই ধর্মতলার সভাস্থল ঘিরে একাধিক নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হচ্ছে।
একুশের সমাবেশে মূল মঞ্চকে তিনটি বলয়ে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম বলয়ের মূল মঞ্চের দায়িত্বে একজন ডিসি, তিনজন এসি, পাঁচ ইন্সপেক্টর, ৫ সাব ইন্সপেক্টর, ৪০ পুলিশকর্মী, ১০০ সাদা পোশাকের পুলিশ, ৫০ জন র্যাফ। দ্বিতীয় বলয়ে মঞ্চের পিছন দিক ও সংলগ্ন এলাকায় সাতটি ভাগে নজরদারি। ভিডিওগ্রাফি করা হবে ১৬টি বহুতলের ছাদ ও বিভিন্ন তলা থেকে। মঞ্চ সংলগ্ন একাধিক জায়গায় থাকবে কম্যান্ডো ও বিশেষ বাহিনীর নজরদারি। নিরাপত্তার দায়িত্বে একজন ডিসি, তিনজন এসি, ৬ ইন্সপেক্টর, ১৪ এসআই, ২০ এএসআই, ৭০ পুলিশকর্মী, দশজন সাদা পোশাকের পুলিশ। তৃতীয় বলয়ে মঞ্চের বাইরে চৌরঙ্গি স্কোয়ারে পাঁচটি ভাগে নজরদারি। নিরাপত্তার দায়িত্বে একজন ডিসি, পাঁচজন এসি, সাতজন ইন্সপেক্টর, ২০ এসআই, ২২ এএসআই, ১২০ জন পুলিশকর্মী।
ধর্মতলা চত্বর-সহ মধ্য কলকাতায় নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে ৩৫০০ পুলিশ। ট্রাফিক পুলিশ ১৫০০। ধর্মতলা চত্বরের আশপাশের অঞ্চল ১৫টি জোনে ভাগ করে থাকবে নজরদারি। দায়িত্ব থাকবেন একজন করে ডিসি। নিরাপত্তায় মোট ৩০ জন ডিসি, ৮০ জন এসি, ১৮০ জন ইন্সপেক্টর, ৮০০ এসআই ও এএসআই। ২০টি জায়গায় বসবে পুলিশ পিকেট। ১৫টি জায়গায় অ্যাম্বুল্যান্স রাখা থাকবে। ভোররাত থেকেই ৪১টি জায়গায় পার্কিংয়ের বন্দোবস্ত থাকবে। নিরাপত্তার দায়িত্বে ১২টি হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড, পর্যাপ্ত সংখ্যক পিসিআর ভ্যান, কুইক রেসপন্স টিম ও অ্যান্টি সাবোটাজ টিম। এছাড়া ঘাটগুলিতে ডিএমজির নৌকা ও ডুবুরির বন্দোবস্তও করা হচ্ছে।