নৈহাটিতে (Naihati) প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে খুন হলেন তৃণমূল কর্মী সন্তোষ যাদব। গুলি করে ও পাথর দিয়ে থেঁতলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে (Naihati) । ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে (Naihati) , যা স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ঘটনায় আটজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হলেও, এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি (Naihati) । মূল অভিযুক্ত রাজেশ সাউয়ের (Naihati) বাড়িতে ক্ষুব্ধ জনতা ভাঙচুর চালিয়েছে।
এ ঘটনার মধ্যেই ব্যারাকপুর পুলিশের কমিশনার অলোক রাজোরিয়াকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর জায়গায় নতুন পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন অজয় ঠাকুর। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটি রুটিন বদলি। অলোক রাজোরিয়া ইতিমধ্যেই তিন বছরের সময়সীমা পূর্ণ করেছেন, তাই তাঁকে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পদে, ডিআইজি ট্র্যাফিক হিসেবে বদলি করা হয়েছে। অজয় ঠাকুর এর আগেও ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি ডিসি ডিডি ও গোয়েন্দা প্রধান (Joint CP) পদেও কর্মরত ছিলেন। ফলে ব্যারাকপুরের রাজনৈতিক ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বেশ অভিজ্ঞ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী সন্তোষ যাদব দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি-প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ঘনিষ্ঠ রাজেশ সাউয়ের বিরোধিতা করছিলেন। এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। দীর্ঘদিন ধরে রাজেশ সাউয়ের মদতদাতা হিসেবে অর্জুন সিংয়ের নামও উঠে এসেছে।
অন্যদিকে, বিজেপি নেতা অর্জুন সিং দাবি করেছেন, বছর দেড়েক আগে রাজেশ সাউয়ের উপর হামলা চালিয়েছিলেন সন্তোষ যাদব। অভিযোগ, সন্তোষ রাজেশকে লক্ষ্য করে দু’রাউন্ড গুলি চালিয়েছিলেন, যার জেরে রাজেশকে দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়েছিল। সেই সময় নৈহাটি থানায় অভিযোগও জমা পড়েছিল। অর্জুন সিং আরও জানিয়েছেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই এবং এটি প্রতিহিংসামূলক ঘটনা হতে পারে।
নৈহাটির এই ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে উঠেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু করা হলেও, এখনও পর্যন্ত কোনও গ্রেফতার হয়নি, যা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে। পরবর্তী তদন্ত কী মোড় নেয়, তা এখন সময়ই বলবে।