সৌভিক সরকার,আমডাঙাঃ ভোরের আলো ফুটতেই শ্বাশুড়িকে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে খুন করল জামাই। ঘটনাটি ঘটে আমডাঙ্গা থানার বোদাই গ্রামে। মৃত শ্বাশুড়ির নাম ষাটোর্ধ সন্ধ্যা কাহার। জামাই পলাশ কাহার পলাতক। তদন্ত শুরু করেছ আমডাঙ্গা থানার পুলিশ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রোজকার মত আজও শ্বাশুড়ি সন্ধ্যা কাহার বাড়ি থেকে বেড় হয়েছিলেন কাজে যাওয়ার জন্য। ভোর পাঁচ’টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেড়িয়ে রাস্তায় কিছুটা যেতেই পথে ছোট জামাই পলাশ কাহার রাস্তায় দেখতে পান তার শ্বাশুড়িকে হেঁটে যেতে। এরপর আচমকা পলাশ তার শ্বাশুড়ির মুখ চেপে টেনে হিঁচড়ে নিজের দাদার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তিন কোপ বসায় গলায়। সাথেসাথে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সন্ধ্যাদেবী। এরপর পলাশ সন্ধ্যা দেবীকে বারাসাত হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পলাশ হাসপাতালে দাঁড়িয়েই ফোন করে মৃত্যুর খবর শ্বশুর বাড়ির লোকজনেদের জানিয়ে বেপাত্তা হয়ে যায় জামাই পলাশ কাহার।
প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের অভিযোগ, বাড়ির ছোট জামাই পলাশ কাহার তার শ্যালক অর্থাৎ মৃত সন্ধ্যা কাহারের ছেলে কার্ত্তিক কাহারের থেকে টাকা ধার নিয়ে জমি কিনে বাড়ি করে। সেই টাকা ফিরৎ দিচ্ছিল না। তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই শ্বশুর বাড়িতে যাতায়াত বন্ধ এমনকি স্ত্রীকেও তার বাবা মায়ের সঙ্গে কথাবলা বন্ধ করে দিতে বাধ্য করেছিল পলাশ। আর এই বিবাদের মধ্যে শ্বাশুড়ি পলাশের বৌকে কু পরামর্শ দিত, এই সন্দেহে পলাশের চোখে ভিলেন ছিলেন শ্বাশুড়ি সন্ধ্যা কাহার।
আজ সেই আক্রশ থেকেই সকালে শ্বাশুড়িকে একা পেয়ে আক্রমন করে বলে অভিযোগ করেন মৃতের এক মেয়ে অনিতা কায়পুত্র। তিনি আরও বলেন, ‘ পলাশ আমার মা’কে গলায় বটি দিয়ে ৩ টে কোপ দিয়ে খুন করে আবার ওই বারাসাত হাসপাতালে নিয়ে যায় মা’কে। সেখান থেকে আমাদের জানায় যে মা আর নেই। আমরা হাসপাতালে যাওয়ার আগেই চম্পট দেয় পলাশ।’
মৃতের পরিবার থেকে আমডাঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সমস্ত ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে আমডাঙ্গা থানার পুলিশ। তবে আমাদের খবর প্রকাশিত হওয়ার আগে পর্যন্তও অভিযুক্ত ধরা পড়েনি।