প্রনব বিশ্বাস, নিমতাঃ চূড়ান্ত উৎকণ্ঠার অবসান। অবশেষে আফগানিস্তান থেকে বাড়ি ফিরলেন নিমতার ওলাই চন্ডিতলার বাসিন্দা শিক্ষক তমাল ভট্টাচার্য্য।
রবিবার রাত প্রায় ১১ টা নাগাদ বিমানে আফগানিস্তান থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছয় এবং কলকাতা বিমানবন্দর থেকে পুলিশ এস্কটের মধ্য দিয়ে নিজের বাড়িতে পৌঁছন পেশায় পদার্থবিদ্যা-রসায়নের শিক্ষক তমাল।
গত মার্চ মাসে তিনি নিমতা থেকে পদার্থবিদ্যা-রসায়নবিদ্যার শিক্ষকতা করতে গিয়েছিলেন কাবুলে। আগস্টের মাঝামাঝি থেকেই দুশ্চিন্তার শুরু। এই দুশ্চিন্তায় প্রহর আরো বেড়েছে গত বেশ কয়েক দিনের তালিবানদের কাবুল দখল করার কারণে। একদিকে কাবুলে রীতিমতো দুশ্চিন্তায় দিন কেটেছে তমালের, অন্যদিকে দুশ্চিন্তার কারণে খাওয়া-দাওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে নিমতার ভট্টাচার্য্য পরিবারের। অবশেষে সুস্থভাবে ছেলে ঘরে ফেরায় উচ্ছ্বসিত পরিবার। সোমবার সকাল থেকে সংবাদমাধ্যমের আনাগোনা তার বাড়িতে। ছেলে বাড়িতে ফিরেছে, তাই তাকে তার পছন্দের খাবার তৈরি করে দিতে উদগ্রীব মা-বাবাও।
সোমবার সকালে মুখোমুখি কথা হয় তমাল ভট্টাচার্যের সাথে। সুস্থভাবে দেশে ফিরে আসায় ভারতীয় বিমানবাহিনী এবং ভারতের বিদেশ মন্ত্রককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তমাল। তবে আগামী দিনের ফের আফগানিস্তানের ফিরে যাবেন কিনা সে ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। কারণ ইতিমধ্যে মঙ্গোলিয়াতে তার চাকরির প্রস্তাব এসেছে। আফগানিস্থানে থাকাকালীন তালিবানি সন্ত্রাসের কথা শুনলে বা টিভিতে দেখলেও তার ওপর এমন কোন অত্যাচার নেমে আসেনি বলেও জানান তমাল।
এদিকে, ছেলে আসার খবরে সকাল থেকেই রান্নাঘরে ব্যাস্ত মা মিনতি ভট্টাচার্য। চিংড়ি, চিকেন কসা সহ ছেলের পছন্দের মেনু তৈরিতে ব্যস্ত তিনি। তবে নিজের ছেলে ঘরে ফিরে এলেও আফগানিস্তানের মাটিতে এখনও আটকে পড়া অসংখ্য ভারতীয়দের দেশে ফেরা নিয়ে চিন্তায় মীনতি দেবী। পাশাপাশি ছেলেকে কাছে পেয়ে আনন্দে উদ্বেলিত তমালের বাবা শ্যামল ভট্টাচার্য। কোন রাখঢাক না করেই তিনি বলে দিলেন অনেকদিন পর ছেলের জন্যই আজ একটু ভালোমন্দ খাবেন।