পল্লব হাজরা, বরাহনগর: “বাজলো তোমার আলোর বেনু” আজ মহালয়ার দিন বাংলায় বিশেষত বাঙালির ঘুম ভাঙে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের চন্ডী পাঠ সহ এই গানটির সুরের মূর্ছনায়। আজও অনেকেই অভ্যস্ত ভোর বেলায় রেডিও , টেলিভিশনের পর্দায় মহিষাসুরমর্দিনী উপভোগ করতে।
এদিন চিরাচরিত প্রথা মেনে পটুয়াপাড়ায় উমার চক্ষুদানে ব্যস্ত থাকেন মৃৎ শিল্পীরা। বাতাসে ভেসে আসে শিউলি ফুলের গন্ধ। প্রকৃতি প্রস্তুতি নেয় মা কে বরণ করে নেওয়ার।
মহালয়া কথার অর্থ মহা আলয়। অশুভ শক্তিকে দমনে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ,মহেশ্বর এই ত্রি – শক্তির সমন্বয়ে আবির্ভূতা হন মহামায়া দেবী দুর্গা। কথিত আছে এই দিন দশভুজার হাতে পরাজিত হয়ে ছিলেন মহিষাসুর।
শাস্ত্র মতে মহালয়ার দিন পিতৃ পক্ষের অবসান ও দেবী পক্ষের সূচনা হয়। তাই এই দিনে গঙ্গার ঘাটে পূর্ব পুরুষের স্মরণে চলে তর্পণ।
কথিত আছে তর্পণের মাধ্যমে পিতৃপুরুষে সন্তুষ্ট হলে মান, ধনসম্পদ বৃদ্ধি ঘটে। বুধবার ভোর থেকেই শহর থেকে জেলায় সমস্ত গঙ্গার ঘাট গুলিতে তর্পণ করতে ভিড় জমান বহু মানুষ। তেমনই বুধবার ভোর থেকে বাগবাজার ঘাটেও উপচে পরা ভিড় লক্ষ্য করা যায়।