বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের গোন্ডায় একটি বড় ট্রেন দুর্ঘটনা (Train Accident) ঘটেছে। ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের বেশ কয়েকটি কোচ লাইনচ্যুত হয়েছে, যার মধ্যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্রিজেশ পাঠক। তবে হতাহতের সংখ্যা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর নির্দেশ দিয়েছেন। এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় রেল।
রেলওয়ে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চণ্ডীগড়-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস উত্তর প্রদেশের গোন্ডার কাছে দুপুর ২.৩৫ টার দিকে লাইনচ্যুত (Train Accident) হয়। এদিকে, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই ঘটনার কথা স্বীকার করে আধিকারিকদের অবিলম্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর নির্দেশ দিয়েছেন। রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, বেশ কয়েকটি কোচ লাইনচ্যুত হয়েছে। গোন্ডার কাছে এক্সপ্রেসটি লাইনচ্যুত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত, দুর্ঘটনায় (Train Accident) কেউ আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
জানা গিয়েছে, গোন্ডায় ১৫৯০৪ চণ্ডীগড়-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের কয়েকটি বগি উল্টে (Train Accident) যায়। ঘটনাটি ঘটেছে গোন্ডা-ঝিলাহি সড়কের পিকৌরার কাছে। কতজন আহত হয়েছেন তা এখনও জানা যায়নি। প্রশাসন গোন্ডা থেকে একটি উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে। চারটি এসি কোচ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে।
৪ থেকে ৫টি কোচ লাইনচ্যুত
ডিব্রুগড়-চণ্ডীগড় এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুতির বিষয়ে উত্তর-পূর্ব রেলের সিপিআরও পঙ্কজ সিং বলেছেন, “রেলওয়ে মেডিকেল ভ্যান ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়েছে। হেল্পলাইন নম্বর জারি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে দুপুর ২.৩৭ টার দিকে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ৪-৫ টি কোচ লাইনচ্যুত হয়েছে।”
মুখ্যমন্ত্রী যোগী তাঁর মুখ্যসচিব এবং ডিজিপি-র সঙ্গে ট্রেন দুর্ঘটনার বিষয়ে কথা বলেছেন। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আধিকারিকদের অবিলম্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসরণ করে, পার্শ্ববর্তী জেলাগুলির সমস্ত হাসপাতাল, সিএইচসি, পিএইচসিগুলিকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। এসডিআরএফ দলকেও ঘটনাস্থলে পৌঁছে ত্রাণ কাজ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে উত্তরপ্রদেশে ডিব্রুগড়-চণ্ডীগড় এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত (Train Accident) হওয়ার খবর জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং অসম সরকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।