নিউজ ডেস্ক, কলকাতা: করোনার সংখ্যা রাজ্যে যেমন বাড়ছে , তেমনই বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। এদিনের একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বাংলায় তৃণমূল সরকার ফিরবে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর বলেছেন এবার ধর্মতলায় সভা না করতে পেরে ব্যথিত। আগামী বছর সবচেয়ে বড় সভা হবে। তার প্রস্তুতি এখন থেকেই নিতে হবে।” আর তার কিছুক্ষণ পরেই পাল্টা জবাব দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
দিলীপবাবু একুশের সভার পরে বলেন, “পরের বছর বিজেপি সরকার থাকবে। সেই সরকারের অনুমতি নিয়েই মিটিং করতে হবে তৃণমূলকে। কিন্তু একুশ সালের একুশে জুলাই একুশ জনকেও সঙ্গে পাবেন না মমতা। সামনের বছর থেকে আর জনসভা হবে না। পথসভা করতে হবে। এখনই মানুষ নেই। তখন আরও থাকবে না। তবে আমরা ধর্মতলায় মিটিং করার পারমিশন দেব।” যেখানে মমতা জনজোয়ায়ের কথা বলছেন সেখানে দিলীপ সরকার পাল্টানোর কথা বলছেন।
করোনা আবহে জমায়েত বন্ধ। তাই কোথাও গিয়ে থমকে গেছে ২০২১ বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি। লোকসভা নির্বাচনের পর এই বিধানসভা নির্বাচনকেই পাখির চোখ করে এগোচ্ছিল বঙ্গ বিজেপি। মমতার গদি দখলের লক্ষ নিয়েছিল তারা। কিন্তু করোনার থাবায় খেই হারিয়ে ফেলে সেই ঝড়। তবে এবার সেই ঝড়ের পালে নতুন করে হাওয়া দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বঙ্গ বিজেপি।
এদিন রাজ্যে সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “তৃণমূলের সঙ্গে আর মানুষ নেই। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা লুঠ করেছে তৃণমূল। সব জায়গা থেকেই কাটমানি খাচ্ছে তৃণমূল। মানুষ আর তাই পাশে নেই। সেটা বুঝেই এদিন বক্তৃতায় তাঁর গলায় ছিল হতাশার সুর।”
এদিনের সভায় মমতা বলেন, “তৃণমূল থাকলে বিনামূল্যে রেশন পাবেন সবাই। তৃণমূল ফিরলে সারাজীবন বিনামূল্যে রেশন পাবেন। প্রধানমন্ত্রী এলেন, বাংলা প্রাপ্য পেলেন কই?” সেটাই হাতিয়ার করে দিলীপবাবু কটাক্ষ করেন, “সরকার যদি থাকে তবে ফ্রিতে রেশন। দিদির মনেই ‘যদি’ ঢুকে গেছে। উনি নিজেও বুঝতে পারছেন আর ফেরা হবে না। তাই ফ্রি রেশনের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাখলেন।”