গত কয়েক দিন ধরে অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে ত্রিপুরায় বন্যায় (Tripura Flood) কমপক্ষে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও দু ‘জন নিখোঁজ রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মাণিক সাহা এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, শান্তিরবাজারে অশ্বিনী ত্রিপুরা পারা ও দেবীপুরে ভূমিধসের ফলে ১০ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে। পাশাপাশি মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে সরকার ও এনডিআরএফ কর্মীদের সহায়তা করার জন্য নাগরিকদের অনুরোধও করেছেন
তিনি বলেন, পরিস্থিতি এখনও সঙ্কটজনক। আমি সকলকে সরকার এবং এনডিআরএফ-এর দলগুলিকে সমর্থন ও সহযোগিতা করার আহ্বান জানাই। আমি ব্যক্তিগতভাবে সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করছি। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্যের প্রায় ১৭ লক্ষ মানুষ এই পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত (Tripura Flood) হয়েছেন। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর রাজ্যে ৪৫০টি ত্রাণ শিবিরে প্রায় ৬৫,৪০০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। ২,০৩২টি জায়গায় ভূমিধসের খবর পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ১,৭৮৯টি পরিষ্কার করা হয়েছে। অন্যান্য জায়গায় সংস্কারের কাজ চলছে।
রাজস্ব বিভাগের সচিব ব্রিজেশ পান্ডে জানিয়েছেন, গোমতী ও দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে (Tripura Flood) দুটি হেলিকপ্টার দিয়েছে কেন্দ্র। অসম রাইফেলস এক বিবৃতিতে বলেছে যে তারা ত্রিপুরায় ত্রাণ অভিযানের অংশ হিসাবে প্রায় ৩৩৪ জন বেসামরিক লোককে উদ্ধার করেছে। অসম রাইফেলস অপারেশন জল রাহত নামে একটি ব্যাপক মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগ ত্রাণ (এইচএডিআর) অভিযান শুরু করেছে। ত্রিপুরার অমরপুর, ভাম্পুর, বিশালগড় এবং রামনগরের বন্যা কবলিত এলাকায় ২১ নম্বর সেক্টর অসম রাইফেলস এবং আইজিএআর (পূর্ব)-এর সদর দফতরের অধীনে ১৮ নম্বর অসম রাইফেলসের দুটি দল মোতায়েন করা হয়েছে।