ফের বউ বাজারের মেট্রোর( Bowbazar Metro) কাজে বিপত্তি দেখা দিয়েছে। বউবাজার দুর্গাপিতুরি লেনে মেট্রোর ক্রসপ্যাসেজ নির্মাণের সময় আবার ওয়াটার লিকেজ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ২৬ তারিখ থেকে এ মাসের ৫ তারিখ পর্যন্ত বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু পাঁচ তারিখে স্থানীয় বাসিন্দারা আবার ফিরে আসেন। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, পাঁচ তারিখে তাঁদের ফের হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। বারবার ঘরে ফেরা, আবারও ঘর ছেড়ে যাওয়া নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্গতি বাড়ছে। তাঁরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন।
কী অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা? স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ৫ তারিখ পর্যন্ত তাঁদের অন্যত্র থাকার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল ( Bowbazar Metro)। কিন্তু ২ তারিখই ঠিকানায় ফেরানো হয়। তাঁদের বক্তব্য তিন দিন আগে কেন ফেরানো হল। যদি ফেরানোই হয়, তাহলে তাদের কেন আবার হোটেলে পাঠানো হল? এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশের সেন্ট্রাল ডিভিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ৫টি বিল্ডিংয়ের ৫২ জন বাসিন্দাকে অন্যত্র সরানো হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। তারপর ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে বাসিন্দাদের।
প্রসঙ্গত শুক্রবার সকালে সকালে KMRCL -এর আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গেলে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের ঘিরে চলে বিক্ষোভ। এর পর স্থানীয় কাউন্সিলরের নেতৃত্বে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট অবরোধ করেন এলাকার বাসিন্দারা। এরপরেই স্থানীয় বাসিন্দারা মিছিল করে সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনের সামনে জমায়েত করেন। তাঁরা মেট্রো স্টেশনের ভিতরে ঢুকে বসেন। যার জেরে মেট্রো স্টেশনে উত্তেজনা ছড়ায়। বহু মেট্রো যাত্রী আটকে পড়েন। মেট্রোর তরফে বিক্ষুদ্ধদের বোঝানোর চেষ্টা করা হয়। উল্লেখ্য, মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে এবারের ওয়াটার লিকেজ গুরুতর নয়। দ্রুতই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। উল্লেখ্য, মাটির নিচ থেকে বের হচ্ছে জল। যার জেরে খালি করে দেওয়া হয়েছে ১১ টি বাড়ি। যার জেরেই সকাল থেকে বউবাজারের স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ শুরু করেন। এখনও পর্যন্ত বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।