মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প তার মন্ত্রিসভা এবং উপদেষ্টাদের (Trump Administration) নিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। অন্যতম প্রধান সিদ্ধান্ত হল তাঁর দীর্ঘকালীন উপদেষ্টা স্টিফেন মিলারকে তাঁর প্রশাসনে নীতি উপ-প্রধান হিসাবে নিয়োগ করা। অভিবাসন এবং H-1B ভিসা বিরোধী অবস্থান নিয়ে কঠোর মতামতের জন্য পরিচিত মিলার বিশ্বাস করেন যে ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত ভারতীয় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
H-1B ভিসা নিয়ে মিলারের দীর্ঘদিনের কঠোর অবস্থান ছিল। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে তিনি অভিবাসন নীতির বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছিলেন। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি বিশেষত উচ্চ-দক্ষ বিদেশী পেশাদার এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে যারা চাকরি পেতে এবং স্থায়ীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকার জন্য H-1B ভিসা ব্যবহার করে।
ভারতীয় নাগরিকরা H-1B ভিসার বৃহত্তম সুবিধাভোগী গোষ্ঠী এবং মিলারের নীতিগুলি (Trump Administration) বাস্তবায়িত হলে তারা বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে। H-1B ভিসার জন্য যোগ্যতার মানদণ্ড কঠোর করার ফলে ভারতীয় পেশাদারদের আবেদন প্রত্যাখ্যানের হার বেশি হতে পারে।
এছাড়াও, H-1B পদের জন্য ন্যূনতম বেতনের সীমা বাড়ানো হতে পারে, যা মার্কিন সংস্থাগুলির জন্য ভারতীয় প্রযুক্তিবিদদের নিয়োগ করা আরও ব্যয়বহুল এবং কঠিন (Trump Administration) করে তুলতে পারে। H-1B ভিসার জন্য ডকুমেন্টেশন এবং যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া বাড়ানোর ফলে প্রক্রিয়াকরণের সময় দীর্ঘ হতে পারে, যার ফলে ভারতীয় পেশাদারদের জন্য ভিসা অনুমোদনে বিলম্ব হতে পারে। ক্রমবর্ধমান বিধিনিষেধ ভারতীয় পেশাদারদের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘমেয়াদী কর্মজীবন এবং স্থায়ীভাবে বসবাসের সম্ভাবনা হ্রাস করতে পারে।
H-1B ভিসা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ-দক্ষ বিদেশী নাগরিকদের জন্য একমাত্র কার্যকর পথ, যা তাদের দীর্ঘ সময়ের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার অনুমতি দেয়। বিশেষত ভারতীয় সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এবং আইটি পেশাদারদের জন্য, এই ভিসা তাদের কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থানের সুযোগই দেয় না, স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য একটি শক্তিশালী মাধ্যমও বটে। ট্রাম্প প্রশাসনের (Trump Administration) সম্ভাব্য নীতির অধীনে H-1B ভিসা কর্মসূচির উপর বিধিনিষেধ বৃদ্ধি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পেশাদারদের জন্য চাকরির সুযোগ সীমিত করতে পারে এবং তাদের কর্মজীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।