মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতির (Trump Tariff) কারণে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে, অনুমান করা হচ্ছে যে আমেরিকায় মন্দা আসতে চলেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক সিদ্ধান্তের কারণে আমেরিকায় মন্দার সম্ভাবনা রয়েছে।
এসএন্ডপি গ্লোবাল রেটিং-এর বৈশ্বিক প্রধান অর্থনীতিবিদ পল গ্রুয়েনওয়াল্ড বলেছেন, হোয়াইট হাউসের শুল্কের (Trump Tariff) উপর ঘন ঘন পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট অনিশ্চয়তা ব্যবসায়িক বিনিয়োগকে বিলম্বিত করার সম্ভাবনা তৈরি করেছে এবং ভোক্তাদের ব্যয় কমাতে প্ররোচিত করেছে।
গ্রুনওয়াল্ড বলেন, কোটিপতি ট্রাম্পের উপদেষ্টা ইলন মাস্কের নেতৃত্বে সরকারি ব্যয় কমানো এবং অপচয় কমানোর প্রচারও প্রয়োজনের চেয়ে বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
১৯৯০ সালের কথা স্মরণ করেন
তিনি ১৯৯০-এর দশকে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিনটনের অধীনে সরকার পরিবর্তনের প্রচেষ্টার দিকে ইঙ্গিত করেন। যখনই মন্দার আলোচনা হয়, মানুষ ১৯২৯ সালের মহামন্দার কথা মনে করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর আগত এই মন্দা বিশ্বের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছিল।
মন্দার ঝুঁকি কীভাবে বাড়ছে?
গ্রুয়েনওয়াল্ড বলেন, “আমি মনে করি বেশিরভাগ উদ্দেশ্যই নিজেরাই মূল্যবান, কিন্তু যেভাবে সেগুলি বাস্তবায়িত হচ্ছে তা খুবই অগোছালো।” সিইআরএ সপ্তাহের জ্বালানি সম্মেলনের ফাঁকে এক সাক্ষাৎকারে গ্রুনওয়াল্ড এএফপিকে বলেন। যদি এর ফলে সংস্থাগুলি এবং ভোক্তারা তাদের ব্যয় কমাতে বাধ্য হয় এবং চাহিদা কমে যায়, তাহলে আমরা এমন একটি মন্দার মুখোমুখি হতে পারি যা মূলত এড়ানো যেত।
বাইডেন প্রশাসনের প্রশংসা
জানুয়ারিতে ট্রাম্প যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন মার্কিন অর্থনীতি শক্ত ভিত্তির উপর ছিল বলে বর্ণনা করে গ্রুয়েনওয়াল্ড বলেন, বাইডেন প্রশাসনের অধীনে অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী হয়েছে। মন্দা হলো এমন একটি অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যেখানে একটি দেশের অর্থনীতি টানা দুই প্রান্তিকে (৬ মাস) মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) পতন রেকর্ড করে।
মন্দার সাথে কী পরিবর্তন হবে?
এটি অর্থনীতিতে একটি সাধারণ মন্দার প্রতিফলন ঘটায়। এটি এমন একটি পরিস্থিতি যখন জিডিপি হ্রাস পায় এবং বেকারত্ব বৃদ্ধি পায়। মানুষ তাদের খরচ কমায় এবং বিনিয়োগ কমে যায়, কোম্পানিগুলির লাভ কমে যায়। শেয়ার বাজারে ক্রমাগত পতনের অবস্থা বিরাজ করছে।
ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানিতে শুল্ক আরোপ
ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের উপর ২৫% হারে বিশাল শুল্ক আরোপ (Trump Tariff) করেছেন। ট্রাম্প আবার রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর প্রথমবারের মতো আমেরিকাও ইউরোপীয় ইউনিয়নের উপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছে।