মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে বৃহস্পতিবার বৈঠকে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন (TMC Leaders)। এরপরেই তড়িঘড়ি বারাবনির এসআই-কে সাসপেন্ড করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। এবার দুই প্রভাবশালী তৃণমূল নেতাকে (TMC Leaders) গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার ভোরে দুর্গাপুর থেকে তৃণমূলের দুই প্রভাবশালী নেতাকে (TMC Leaders) গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের বিরু্দ্ধে লোহার যন্ত্রাংশ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। দুর্গাপুরের ব্লক তৃণমূলের সহ সভাপতি রিন্টু পাঁজা ও প্রাক্তন কাউন্সিলর অরবিন্দ নন্দীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানা ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর প্রিয়াঙ্কা পাঁজার স্বামী তথা দুর্গাপুরের তিন নম্বর ব্লক তৃণমূলের সহ সভাপতি রিন্টু পাঁজা ও ব্লকের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর অরবিন্দ নন্দীকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পরেই শুক্রবার ভোরের দিকে তাঁদের দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের শুক্রবার সকালে দুর্গাপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নে দুই তৃণমূল নেতা বলেন, তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ রয়েছে, তা জানা নেই। তবে তাঁরা দাবি করেছেন, দল তাঁদের পাশে রয়েছে।
নবান্নে বৃহস্পতিবার বৈঠকে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি দেখলে রাজনৈতিক রঙ না দেখে অ্যাকশন নিতে হবে। তারপরেই বারাবনির এসআই-কে সাসপেন্ড করা ও দুই প্রভাবশালী তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতারকে অনেকেই শুদ্ধিকরণ বলে মন্তব্য করছেন। যদিও একে শুদ্ধিকরণ বলতে নারাজ বিজেপি। বিরোধীরা বলেন, এগুলো কোনও কিছুই সত্য নয়, এগুলো আইওয়াশ। লোক দেখানো কাজ করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা লক্ষণ ঘড়ুই বলেন, “এটা দলের অন্দরে ভাগ বাটোয়ারার সমস্যা। লোক দেখানো গ্রেফতারি। সারা বাংলায় এরকম একাধিক কেলেঙ্কারি আছে। সর্বত্র চলছে। হয়ত কোনও চক্রান্তের শিকার এরা। শুদ্ধিকরণ করতে গেলে হাজার হাজার লোককে গ্রেফতার করতে হবে।”
অন্যদিকে, সাব ইন্সপেক্টর মনোরঞ্জন মণ্ডলের সাসপেনশন লেটারে অপেশাদার উল্লেখ করা হয়েছে। মনোরঞ্জন মণ্ডলের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ রয়েছে? কয়লা-বালি পাচারের সঙ্গে যোগ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কিংবা মনোরঞ্জন মণ্ডলের বিরুদ্ধে অন্য অভিযোগ থাকতে পারে। এই বিষয়ে একাধিক জল্পনা থাকলেও ঠিক কি কারণে মনোরঞ্জন মণ্ডলকে সাসপেন্ড করা হল, সেই বিষয়ে কোনও কোনও স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। আরও বেশ কয়েকজন থানার অফিসার ইনচার্জের নামও থাকতে পারে এই তালিকায় থাকতে পারে বলে জানা গিয়েছে।