উত্তরপ্রদেশে বিজেপির (UP Election Report) খারাপ পারফরম্যান্স নিয়ে একটি পর্যালোচনা রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। দলের রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে হেরে যাওয়া সমস্ত আসনের রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। রিপোর্ট তৈরির জন্য বিজেপি ৪০ জন নেতাকে নিয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছিল। গত লোকসভা ভোটে উত্তর প্রদেশে বিজেপি ৭৫টি আসনে এবং তার সহযোগীরা ৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। সেখানে বিজেপি মাত্র ৩৩টি আসনে জিততে পেরেছে। লোকসান হয়েছে ২৯ টি আসনের। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ৬২ জন এবং তার সহযোগী আপনা দলের ২ জন সাংসদ ছিলেন।
শনিবার লখনউতে থাকবেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষ। তিনি প্রথমে দলের কার্যালয়ে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল (UP Election Report) নিয়ে একটি পর্যালোচনা সভা করবেন। এখনও পর্যন্ত রাজ্য স্তরে এই পর্যালোচনা করা হয়েছে। এই প্রথমবার টাস্কফোর্সের পর্যালোচনা প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সামনে থাকবে। দলের চল্লিশজন নেতা লোকসভা কেন্দ্র পরিদর্শনের পর এই প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। সফরের সময় এই নেতারা সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রের পৃথক বৈঠক ডেকে দলের খারাপ পারফরম্যান্সের কারণ ব্যাখ্যা করেন। তারপর তারা সমস্ত কারণ জেনে তাদের নিজস্ব প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
বি এল সন্তোষ এই সমস্ত পর্যালোচনা প্রতিবেদন নিয়ে চিন্তাভাবনা করবেন। সমস্ত জেলা সভাপতিদের এই বৈঠকে ডাকা হয়েছে। যে লোকসভা আসনে বিজেপি হেরেছে, সেই আসনগুলির দায়িত্বপ্রাপ্তদেরও এই বৈঠকে ডাকা হয়েছে। বিজেপি এবার ভালো করতে না পারার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। দলীয় নেতাদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব থেকে শুরু করে সঠিক প্রার্থী নির্বাচন না করা পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে।
চলতি বছরের ১৪ মে বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী সভা হওয়ার কথা রয়েছে। এই জনসভায় উপস্থিত থাকবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সাধারণত, বিজেপির জেলা সভাপতিদের এই বৈঠকে ডাকা হয়, তবে এবার দলের মণ্ডল সভাপতিরাও এতে উপস্থিত থাকবেন। একটি বিধানসভায় তিন থেকে ছয়জন মণ্ডল সভাপতি থাকেন। সূত্র জানায়, ১৯১৮ সালের মণ্ডল সভাপতিদের রাজ্য কার্যনির্বাহীতে ডাকা হয়েছে। দলের প্রচেষ্টা হল নির্বাচনের ফলাফল খারাপ হওয়ার পর সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলা। বি এল সন্তোষ দলের নেতাদের সঙ্গে এই বৈঠকের এজেন্ডা নিয়েও আলোচনা করবেন।