উত্তরপ্রদেশে বিদ্যুতের (UP Electricity Bill) বেসরকারিকরণের বিরোধিতার মধ্যে, এখন বিদ্যুৎ গ্রাহকদের একটি বড় ধাক্কা দিতে প্রস্তুত। এর ফলে উত্তরপ্রদেশে বিদ্যুৎ ও মূল্যস্ফীতি হতে পারে। রাজ্যটি এখন গার্হস্থ্য গ্রাহকদের উপরও টাইম অফ ডে (টিওডি) শুল্ক প্রয়োগ করতে পারে, যার অধীনে দিন ও রাতের জন্য বিভিন্ন বিদ্যুতের হার প্রযোজ্য হবে, যা বিদ্যুৎ গ্রাহকদের খরচ ২০ শতাংশ বাড়িয়ে দিতে পারে। এই ব্যবস্থাটি মাল্টি-ইয়ার ট্যারিফ রেগুলেশন ২০২৫-এর বিন্যাসে প্রস্তাব করা হয়েছে।
এই বিধানগুলি বর্তমানে শুধুমাত্র ক্ষুদ্র ও ভারী শিল্প বিভাগের ভোক্তাদের জন্য প্রযোজ্য, তবে প্রস্তাবটি অনুমোদিত হলে, কৃষক ব্যতীত সমস্ত গার্হস্থ্য, বাণিজ্যিক এবং শিল্প ভোক্তাদের জন্য টাইম-অফ-ডে পরিকল্পনা প্রযোজ্য হতে পারে। যার অধীনে পিক আওয়ার অর্থাৎ সন্ধ্যা পাঁচটা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের সমস্ত জেলায় বিদ্যুতের হার (UP Electricity Bill) দিনের চেয়ে বেশি ব্যয়বহুল হবে।
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকার বিদ্যুৎ বিধি ২০২০-তে প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে টিওডি শুল্ক কার্যকর করতে চলেছে। দিন-রাতের জন্য আলাদা আলাদা বিদ্যুতের হার (UP Electricity Bill) নির্ধারণের নিয়ম রয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে, ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে কৃষক ছাড়া সমস্ত গ্রাহকের জন্য এটি প্রযোজ্য হবে। একটি তথ্য অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশে মোট ৩.৪৫ কোটি বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে, যার মধ্যে ২.৮৫ কোটি ঘরোয়া গ্রাহক। যা সরাসরি প্রভাবিত হবে। রাজ্যে ১৫ লক্ষ কৃষক গ্রাহক রয়েছেন যাঁদের টিওডি ট্যারিফ প্ল্যান থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশে, ২০২৩ সালেও টিওডি ব্যবস্থা বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু গ্রাহক পরিষদ এর তীব্র বিরোধিতা করেছিল, যার পরে এই প্রস্তাবটি স্থগিত করা হয়েছিল। কিন্তু এখন এই প্রস্তাবটি (UP Electricity Bill) আবার মাল্টি-ইয়ার রেগুলেশন ২০২৫-এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যদি রাজ্যে টিওডি প্রয়োগ করা হয়, তবে এটি বিদ্যুৎ গ্রাহকদের প্রভাবিত করবে এবং বিদ্যুৎ ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে।
ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশে টিওডি-র বিরোধিতা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিদ্যুৎ গ্রাহক পরিষদ এর বিরোধিতা করতে শুরু করেছে। কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অবধেশ কুমার ভার্মা বলেছেন, তাঁরা এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করবেন। প্রয়োজনে তারা আইনি পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না।