খবরএইসময়,নিউজ ডেস্কঃ করোনাভাইরাস এর দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশজুড়ে যেই হারে মৃত্যুর প্রকোপ বেড়েছে, সেখানে দাঁড়িয়ে করোনা ভাইরাস টিকার অভাব পূরণে ব্যর্থ কেন্দ্রীয় সরকার, এমন একটা অভিযোগ দেশবাসীর।
ভারত এই মুহূর্তে দেশীয় টিকা কোভ্যাকসিন এবং কোভিশিল্ডের ছাড়পত্র দিয়েছে। এছাড়া প্রথম বিদেশি টিকা হিসেবে রাশিয়ার স্পুটনিক’কে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দেশীয় কোভ্যাকসিন ও কোভিশিল্ডের চাহিদা বৃদ্ধি এবং উৎপাদন কম হওয়ায় টিকার সংকট, দামের বৈষম্য এবং ডিজিটাল মাধ্যমে নাম নথিভুক্তির সমস্যায় যখন জর্জরিত দেশের মানুষ ঠিক তখন, করোনাভাইরাস টিকার অভাব পূরণে বড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র।
দুই মার্কিন টিকা সংস্থা ফাইজার ও মডার্নার ক্ষেত্রে কিছুটা সুর নরম করল ভারত সরকার। সংবাদসংস্থা এএনআই জানা গিয়েছে, যদি জরুরি ভিত্তিতে ভারতে টিকা ব্যবহারের জন্য ফাইজার এবং মডার্না আবেদন করে, তাহলে দুই সংস্থাকেই দেশের সুরক্ষা আইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ দেওয়া হতে পারে।সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রের খবর, ফাইজার ইতিমধ্যে জানিয়েছে যে, আগামী জুলাই থেকে অক্টোবরের মধ্যে ভারতকে পাঁচ কোটি টিকার ডোজ দিতে প্রস্তুত আছে। ভারত সরকারের নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছে মার্কিন সংস্থা।
বৈঠকে ফাইজারের কার্যকারিতা, অনুমোদন সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি মার্কিন সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, ভারতে হদিশ পাওয়া বি.১.১৬৭ (B.1.617) প্রজাতির করোনাভাইরাসের উপর ফাইজারের টিকার ‘দারুণ কার্যকারিতা’-র প্রমাণ মিলেছে। যে টিকা ১২ বছর বা তার ঊর্ধ্বে সকলের জন্য উপযুক্ত বলে দাবি করা হয়েছে।জরুরি ভিত্তিতে ভারতে ফাইজার ও মডার্নার টিকা ব্যবহার করতে হলে আলাদা করে ট্রায়ালের প্রয়োজন নেই বলে আগেই জানিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (DCGI)।
কেন্দ্রের একটি সূত্র খবর, ফাইজার এবং মডার্নার মতো সংস্থাকে অন্যান্য দেশে যেরকম আইনি রক্ষাকবচ পেয়েছে, সেরকম ধাঁচেই দুই সংস্থার টিকাকে ভারতেও সুরক্ষাকবচ দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। তা মঞ্জুরও হয়ে যাবে বলে আশাবাদী ওই সূত্র। ইতিমধ্যে ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা Cipla-র সঙ্গে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা মডার্নার আলোচনা চলছে। আইসিএমআর-এর প্রধান বলরাম ভার্গব জানিয়েছেন, জুলাইয়ের শেষ বা অগাস্টের শুরুতেই দেশে পর্যাপ্ত করোনা টিকা মিলবে। তখন দিনে ১ কোটি মানুষের টিকাকরণ করা সম্ভব হবে। চলতি বছরের শেষে টিকা পাবেন দেশের ১০৮ কোটি মানুষ।