ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন আমেরিকায় অভিবাসন নীতির (US Immigration Policy) বিষয়ে একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে এবং কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া এবং ভেনেজুয়েলা থেকে আসা ৫,৩০,০০০ অভিবাসীর আইনি সুরক্ষা বাতিল করেছে। এই সিদ্ধান্তের পর, এই অভিবাসীদের প্রায় এক মাসের মধ্যে আমেরিকা ছেড়ে যেতে হতে পারে।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ ঘোষণা করেছে যে ২০২২ সালের অক্টোবরে আর্থিক স্পনসর নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারী এই দেশগুলি থেকে আসা অভিবাসীদের প্যারোল স্ট্যাটাস এখন বাতিল করা হবে। এই অভিবাসীদের আমেরিকায় বসবাস ও কাজ করার জন্য দুই বছরের পারমিট দেওয়া হয়েছিল, যার মেয়াদ এখন শেষ হয়ে গেছে। এই পদক্ষেপটি অবৈধ অভিবাসীদের (US Immigration Policy) বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের ক্রমবর্ধমান পদক্ষেপের অংশ।
মানবিক প্যারোল ব্যবস্থার সমাপ্তি আইনি অবস্থা
মানবিক প্যারোল ব্যবস্থা হল একটি আইনি ব্যবস্থা যা যুদ্ধ বা রাজনৈতিক অস্থিরতার সম্মুখীন দেশগুলির লোকেদের সাময়িকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ এবং বসবাসের অনুমতি দেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছে। এই ব্যবস্থার (US Immigration Policy) অধীনে, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের আমলে কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া এবং ভেনেজুয়েলার লোকদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ট্রাম্প প্রশাসন এই ব্যবস্থার ব্যাপক অপব্যবহারের অভিযোগ করেছে এবং তাই এটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আওতায়, ২৪শে এপ্রিলের পরে লোকেদের আমেরিকা ত্যাগ করতে বলা হয়েছে, যার কারণে বিপুল সংখ্যক লোককে নির্বাসনের সম্মুখীন হতে হতে পারে।
অভিবাসীদের বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান
অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কারণে, এখন পর্যন্ত রেকর্ড সংখ্যক অবৈধ অভিবাসীকে (US Immigration Policy) আমেরিকা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন বলেছে যে বাইডেন প্রশাসন কর্তৃক শুরু করা প্যারোল প্রোগ্রামটি আইনি সীমার বাইরে ছিল, এবং তাই ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করে এটি শেষ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এই সিদ্ধান্ত মার্কিন সরকারের কঠোর অভিবাসন নীতির প্রতিফলন, যা বিশেষ করে যেসব দেশের সাথে আমেরিকার কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন রয়েছে, সেখানকার অভিবাসীদের উপর প্রভাব ফেলে।
জো বাইডেনের অভিবাসন নীতি
জো বাইডেন ২০২২ সালে ভেনেজুয়েলার অভিবাসীদের জন্য একটি প্যারোল প্রবেশ কর্মসূচি চালু করেছিলেন। এরপর ২০২৩ সালে এটি সম্প্রসারিত করে কিউবা, হাইতি এবং নিকারাগুয়া থেকে আসা অভিবাসীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বাইডেন প্রশাসন এই অভিবাসীদের দুই বছরের প্যারোল মঞ্জুর করেছে, যার ফলে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করতে এবং বসবাস করতে পারবে।
তবে, ট্রাম্প প্রশাসন এই নীতিগুলিকে আইনি সীমানা লঙ্ঘন হিসেবে দেখে এবং অভিবাসন নীতিতে (US Immigration Policy) বড় ধরনের পরিবর্তন আনে, যার ফলে লক্ষ লক্ষ অভিবাসীর আইনি মর্যাদা ঝুঁকির মধ্যে পড়ে।
সম্ভাব্য প্রভাব এবং আরও পদক্ষেপ
ট্রাম্প প্রশাসনের প্যারোল স্ট্যাটাস বাতিলের সিদ্ধান্ত অভিবাসীদের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। এই লোকদের মধ্যে কতজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইনি মর্যাদা বা অন্যান্য সুরক্ষা বিকল্প পেয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নীতি (US Immigration Policy) নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক চলছে এবং এই সিদ্ধান্তের ফলে কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া এবং ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের তাদের ভবিষ্যতের জন্য অন্যান্য বিকল্প বিবেচনা করতে হবে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত আমেরিকায় বসবাসকারী লক্ষ লক্ষ অভিবাসীর জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তুলতে পারে।