মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সমস্ত ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়াম আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক (US Tariff) আরোপ করা হবে। এটিকে তার বাণিজ্য নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বর্ণনা করে ট্রাম্প বলেন, মার্কিন পণ্যের ওপর একই ধরনের শুল্ক আরোপকারী দেশগুলোর বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প স্টিলের ওপর ২৫% এবং অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ১০% শুল্ক(US Tariff) আরোপ করেন। যদিও কানাডা, মেক্সিকো এবং ব্রাজিলের মতো প্রধান বাণিজ্য অংশীদারদের সেই সময় কিছুটা স্বস্তি দেওয়া হয়েছিল, ট্রাম্প এখন শুল্ক পুনরায় আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বিষয়টি এত গুরুত্বপূর্ণ কেন?
ট্রাম্প এবং তাঁর সমর্থকরা বিশ্বাস করেন যে এই শুল্কগুলি দেশগুলিকে (কানাডা এবং মেক্সিকো) চাপ দেওয়ার একটি মাধ্যম যার কারণে আমেরিকা মাদক পাচার এবং অবৈধ অভিবাসনের মতো সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। মার্কিন জনগণের স্বার্থ রক্ষা এবং অভ্যন্তরীণ কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ট্রাম্পের অর্থনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
25% tariffs on ALL steel & aluminium imports from Monday — Trump
‘Any steel coming into US is going to have 25% tariff’, Trump Says pic.twitter.com/pt7sOlW1MZ
— Dco Global News (@Dcoglobalnews) February 10, 2025
আমেরিকার প্রধান আমদানি উৎস
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইস্পাতের বৃহত্তম সরবরাহকারী হল কানাডা, ব্রাজিল এবং মেক্সিকো। এর পরে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও ভিয়েতনাম। কানাডা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অ্যালুমিনিয়ামের বৃহত্তম সরবরাহকারী, যা ২০২৪ সালের প্রথম ১১ মাসে মোট আমদানির ৭৯%। মেক্সিকো অ্যালুমিনিয়াম স্ক্র্যাপ এবং অ্যালুমিনিয়াম মিশ্র ধাতুগুলির একটি প্রধান সরবরাহকারী।
বানিজ্য যুদ্ধের সম্ভাবনা
ট্রাম্প মেক্সিকো ও কানাডা থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর ২৫% এবং চিন থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর ১০% শুল্ক (US Tariff) আরোপের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপটি বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়িয়ে তুলতে পারে কারণ এটি ২.১ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি বার্ষিক বাণিজ্যকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে, ট্রাম্প কানাডা ও মেক্সিকোকে একটি সংক্ষিপ্ত বিরতি দিয়েছেন, যা ইঙ্গিত করে যে এই দেশগুলির সাথে নতুন বাণিজ্য চুক্তি এখনও একটি সম্ভাবনা রয়েছে।
শুল্কের প্রভাব এবং ট্রাম্পের অর্থনৈতিক কৌশল
মার্কিন শিল্পকে রক্ষা করা এবং দেশীয় উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে তার অর্থনৈতিক কৌশল (US Tariff) হিসাবে দেখা হচ্ছে। ট্রাম্প বিশ্বাস করেন যে এই শুল্ক নীতি বিদেশী প্রতিযোগিতা নিয়ন্ত্রণ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। ট্রাম্প প্রচারের সময় বলেছিলেন যে শুল্ক “অন্যান্য দেশের জন্য ব্যয় হবে, আমেরিকান নাগরিকদের জন্য নয়”, এটি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে তিনি এটিকে তার মূল অর্থনৈতিক নীতি হিসাবে প্রচার করছেন।