মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার থেকে মেক্সিকো এবং কানাডা থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর ২৫% শুল্ক (US Tariff) আরোপ করেছেন। এছাড়াও, চিন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের উপর ইতিমধ্যে প্রযোজ্য ১০% শুল্ক বাড়িয়ে ২০% করা হয়েছে।
এই শুল্কগুলির উদ্দেশ্য হল এই দেশগুলি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানাইল এবং অন্যান্য অবৈধ ওষুধের পাচার রোধ করা। এই শুল্কগুলি মূলত গত মাসে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছিল।
কানাডার বড় পদক্ষেপ
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো আমেরিকান শুল্কের (US Tariff) প্রতিক্রিয়া হিসাবে মঙ্গলবার থেকে আমেরিকান পণ্যের উপর ২৫% শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেছেন, যা ৩০ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলারের পণ্যের উপর প্রযোজ্য হবে। যদি মার্কিন শুল্ক প্রত্যাহার করা না হয়, কানাডা পরবর্তী ২১ দিনের মধ্যে অতিরিক্ত ১২৫ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার মূল্যের মার্কিন পণ্যের উপর শুল্ক আরোপ করবে।
ট্রুডো বলেছেন যে মার্কিন বাণিজ্য পদক্ষেপ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত কানাডার শুল্ক বহাল থাকবে এবং যদি তা না হয় তবে তারা অন্যান্য অ-শুল্ক ব্যবস্থাও বিবেচনা করবে।
মেক্সিকো প্রেসিডেন্টের বিবৃতি
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শিনবাউম বলেছেন, মার্কিন শুল্ক (US Tariff) কার্যকর হলে তার দেশ প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত। যদিও তিনি নির্দিষ্ট ব্যবস্থার বিশদ বিবরণ দেননি, তবে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে মেক্সিকোর ব্যাকআপ পরিকল্পনা রয়েছে।
জবাব দিয়েছে চিনও
চিনের অর্থ মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে যে তারা আমেরিকান কৃষি পণ্যের উপর ১০% থেকে ১৫% অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করবে। ১০% শুল্ক সয়াবিন, শুয়োরের মাংস, গরুর মাংস, মাছ, ফল, শাকসবজি এবং দুগ্ধজাত দ্রব্যের উপর প্রযোজ্য হবে, যেখানে মুরগি, গম, ভুট্টা এবং তুলোতে ১৫% শুল্ক আরোপ করা হবে। এর বাইরে ২৫টি আমেরিকান কোম্পানির ওপর রপ্তানি ও বিনিয়োগ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চিন।
এসব শুল্কের (US Tariff) কারণে উত্তর আমেরিকায় অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা বেড়েছে। মার্কিন স্টক মার্কেটেও পতন দেখা গেছে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আমেরিকা, কানাডা, মেক্সিকো এবং চীনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য উত্তেজনা বিশ্ব অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।