Uttarakhand Forest Fire: বোটিং,প্যারাগ্লাইডিং নিষিদ্ধের কারণে পর্যটকরা হতাশ, ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটন ব্যবসা

বনের আগুনের (Uttarakhand Forest Fire) কারণে বোটিং এবং প্যারাগ্লাইডিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বোটিং ও প্যারাগ্লাইডিং না করতে পারায় নিরাশ হয়ে ফিরছেন পর্যটকরা। ভিমতালের জঙ্গলে আগুন পর্যটন ব্যবসাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

শনিবার বনের আগুনে ভিমতলের পর্যটন ব্যবসায়ীদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একইসঙ্গে ভীমতাল লেকে হেলিকপ্টারে জল ভরে যাওয়ায় বোটিং ও প্যারাগ্লাইডিংয়ের আশায় আসা পর্যটকদের বোটিং ও প্যারাগ্লাইডিং না করেই নিরাশ হয়ে ফিরে যেতে হয়েছে।

শনিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভীমতাল লেকে বোটিং সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। এতে বোটিং ও ট্যুরিজম অপারেটরদের ২ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় লোকজন জানান, গোটা বন পুড়ে গেলে বন বিভাগ ও প্রশাসনকে হেলিকপ্টারের সাহায্য নিতে হয়।

পর্যটকরা কি বলেছেন ?
আগ্রা থেকে আসা শিক্ষা নামে এক পর্যটক বলেন, ‘ভীমতাল এসেছিলাম বোটিং এবং অ্যাকুরিয়াম দেখার জন্য। কিন্তু বনের আগুনের (Uttarakhand Forest Fire)কারণে লেক থেকে হেলিকপ্টারে জল ভর্তি করায় বোটিং বন্ধ করা হয়েছে এমনকি  অ্যাকুরিয়াম দেখতে জাহাজেও যেতে না পেরে আমি অত্যন্ত হতাশ বোধ করেছি।

পুষ্পেন্দ্র নামে আর এক পর্যটক জানালেন, তিনি আগ্রা থেকে সপরিবারে ভিমতাল বেড়াতে এসেছিলেন। শনিবার ভিমতাল হ্রদে কোনো পাল তোলা না হওয়ায় তারা হতাশ হয়েছেন। বনের আগুন তাদের আশাকে ধূলিসাৎ করে দিয়েছে।

বোট অপারেটর লাকি কারকি বলেন,আমরা পাল তোলার জন্য ভীমতাল পৌঁছেছিলাম। কিন্তু হেলিকপ্টার দিয়ে লেক থেকে জল তোলায় বোটিং করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে পালতোলা না করেই ফিরতে হচ্ছে।

পাশাপাশি নৌকা অপারেটর প্রমোদ জোশী এবং সেলিম আহমেদ বলেন, বনের আগুন আমাদের ব্যবসাকে প্রভাবিত করেছে। নৌকা চলাচল না করায় জীবন-জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রশাসনের সপ্তাহান্তে লেক থেকে জল তোলা উচিত হয়নি। সপ্তাহান্তে ভাল ব্যবসা আশা করেছিলাম। কিন্তু হেলিকপ্টারে লেক থেকে জল ভর্তি করায় শনিবার দিনভর ব্যবসা বন্ধ থাকে। এতে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে আমাদের।