বলিপাড়ার একসময়কার ডাকসাইটে প্রযোজনা সংস্থার সাত তলা অফিসটা এখন অতীত। ২৫০ কোটির দেনায় জর্জরিত সর্বস্বান্ত প্রযোজককে নাকি পূজা এন্টারটেইনমেন্টের অফিস বিক্রি করে দিতে হয়েছে বাসু ভাগনানিকে (Vashu Bhagnani) ! শুধু তাই নয়। সংস্থার কর্মরত ৮০ শতাংশ কর্মীদেরও নাকি ছাঁটাই করতে হয়েছে দেনায় ডুবে! এমন কথাই শোনা গিয়েছিল দিন দুয়েক আগে। তবে রণে ভঙ্গ দিয়ে মুখ খুলেছিলেন বাসু খোদ। গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে বলেছিলেন, “এমন কিছুই হয়নি…।” এবার প্রযোজক বাসুকে নিয়ে নতুন খবর প্রকাশ্যে।
টাইগার শ্রফ, অক্ষয়কুমার ছাড়াও সোনাক্ষী সিনহা, মানুষী চিল্লারের পারিশ্রমিকও পুরোপুরি মেটাননি বাসু ভাগনানি (Vashu Bhagnani)। জানা গিয়েছে, পারিশ্রমিক ছাড়াই ছবির প্রচারে গিয়েছিলেন অভিনেত্রীরা। ১৯ মার্চ ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের কাছে একটি অভিযোগে পরিচালক দেশাই জানানা যে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ২০২৩ সালের ৬ অক্টোবর পর্যন্ত ‘মিশন রানিগঞ্জ’ ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। চুক্তি অনুযায়ী তাঁর প্রাপ্য ছিল ৪ কোটি ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, কিন্তু তাঁকে এখনও অবধি দেওয়া হয়েছে ৩ কোটি ৭০ লক্ষ ৩৬০৯২ টাকা। ফলে ৩৩ লক্ষ টাকা কেবল তারই প্রাপ্য। পূজা এন্টারটেইনমেন্টকে বহুবার জানানোর পরেও তাঁকে সেই টাকা মেটানো হয়নি বলেই জানিয়েছেন পরিচালক। এমনকী তিনি জানান যে, প্রযোজনা সংস্থার পক্ষ থেকে জুলাই মাসের মধ্যে সব বকেয়া শোধ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
তিনু দেশাই ক্ষোভ উগড়ে বলেন যে, এটা খুবই অন্যায়। তাঁর নিজেরা বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন। কিন্তু টাকা মেটানোর কথা এলেই তারা অজুহাত দিচ্ছেন। এর আগেও ইমেল পাঠানো হলে ছেলে জ্যাকি ভাগনানির বিয়ের অজুহাত দেওয়া হয়েছিল। তবে এবার জুলাইয়ের মধ্যে টাকা না মেটালে কোনও কলাকুশলী আর তাদের ছবিতে কাজ করবে না। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জানান, স্পটবয় থেকে শুরু করে নানা বিভাগে কাজ করেছে এমন মোট ৪৮ হাজার কর্মী রয়েছে। কর্মীরা এখন অসহায়। অভিনেতা-অভিনেত্রীরা আগে টাকা পান, কলাকুশলীরা পান না। তাদের ইন্ডাস্ট্রিতে কোনও চাকরির নিশ্চয়তা নেই। কষ্টার্জিত টাকা পেতে তাদের অনেক সময় বহু মাস অপেক্ষা করতে হয়।