সন্দেশখালিতে গণধর্ষণের শিকার এক মহিলার অভিযোগে (TMC Leader)পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। ওই নির্যাতিতার অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC Leader) সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি দিলীপ মল্লিকের নেতৃত্বে তিনজন ব্যক্তি তাঁকে ধর্ষণ করেন। তবে অভিযোগ দায়ের করার (TMC leader) পরেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি।
সন্দেশখালির মাঝের পাড়ার বাসিন্দা ওই মহিলা জানান, গত ১৫ মে রাতে তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। তাঁর আর্তনাদে স্থানীয়রা ছুটে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পরদিন তিনি থানায় এফআইআর দায়ের করেন। অভিযোগে তৃণমূল ব্লক সভাপতি দিলীপ মল্লিকসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়।
নির্যাতিতার অভিযোগ, গত সাত মাস ধরে পুলিশের কাছে বারবার অনুরোধ করলেও তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। বিচারপতির নির্দেশে মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে এবং বুধবার মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নির্যাতিতা আরও দাবি করেছেন, সন্দেশখালিতে একাধিক মহিলা তৃণমূল নেতাদের লালসার শিকার হয়েছেন। তাঁদের অনেকেই অভিযোগ দায়ের করলেও অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি বলেন, “আমি সুবিচারের আশায় থানায় অভিযোগ করেছিলাম। কিন্তু পুলিশ পদক্ষেপ নেয়নি। হাইকোর্টের কাছে সুবিচারের আশা করছি। নইলে এই রাজ্যে আর সুবিচারের আশা নেই।” এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিরোধী দলগুলির দাবি, তৃণমূল নেতাদের আড়াল করতেই পুলিশ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে। হাইকোর্টের রায় এখন নির্যাতিতার সুবিচার নিশ্চিত করতে পারে কি না, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলে।
লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে সন্দেশখালি উত্তাল হয়ে পড়েছিল। সেই সময় তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে মহিলাদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তা, ধর্ষণের একাধিক অভিযোগ ওঠে। সেই সময় সন্দেশখালির মহিলারা কার্যত রাস্তায় নেমে পড়েন। তাঁরা তীব্র প্রতিবাদ করেন। সেই সময়ও সন্দেশখালিতে মহিলাদের ওপর শাসক দলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বিরোধী নেতা-নেত্রীরা।