একবিংশ শতাব্দিতেও ‘অলৌকিক’ তন্ত্রমন্ত্রের রমরমা ভারতে। সেই কুসংস্কারের বলি (Victim of Superstition) এবার ৭ বছরের এক বালক। অসুস্থ কাকিমা নিজেকে সুস্থ করে তুলতে জনৈক তান্ত্রিকের পরামার্শে ভাইপোকে বলি দিলেন। এই খুনের ঘটনায় তান্ত্রিক ছাড়াও অন্যতম অভিযুক্ত মৃত বালকের কাকিমার প্রৌঢ়া মা। উত্তরপ্রদেশের মুজাফ্ফরনগর জেলার এই কাণ্ডে এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
গত শুক্রবার ভোরে মুজাফ্ফরনগর জেলার কাইলাওয়াদা কালান গ্রামে উদ্ধার হয় ৭ বছরের বালক কেশব কুমারের দেহ। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামতেই তান্ত্রিক যোগ (Victim of Superstition) সামনে আসে। গোটা ঘটনায় যুক্ত ছিলেন বালকের কাকিমা ২০ বছরের অঙ্কিতা এবং তাঁর মা ৫০ বছরের রিনা দেবী। জানা গিয়েছে, তুতো বোনের আত্মহত্যার পর থেকে বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন অঙ্কিতা। এতে অঙ্কিতার মা রিনা দেবীর ধারণা হয়, আত্মহত্যায় শরীর ছাড়া আত্মাই প্রবেশ করেছে মেয়ের শরীরে। তার জন্যই বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ছে সে। এর পরই তিনি তান্ত্রিক রাম গোপালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
পুলিশ জানতে পেরেছে, এই রাম গোপাল নিদান দেয়, আত্মার অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে একটি বালককে বলি দিতে হবে। এর পর রিনার ষড়যন্ত্রে ৭ বছরের কেশব কুমারকে হত্যা করে তান্ত্রিক। তিন অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কথা স্বীকার করেছে অঙ্কিতা। সে জানায়, ১৮ মাস আগে তুতো বোন কোমলের আত্মহত্যা করেছিল। এর জেরে অসুস্থ হয়ে পড়ছিল সে। এর থেকে নিস্তার পেতে তান্ত্রিকের পরামর্শ ভাইপোকে হত্যা করা হয়েছে। নৃশংসতা সামনে আসতে প্রতিবেশীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।