Vijay Diwas 2025: বিজয় দিবসে সেনাদের আত্মত্যাগ ও বীরত্বের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর

১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনী ঐতিহাসিক বিজয় (Vijay Diwas 2025) অর্জন করে ঐ বছরের ১৬ ডিসেম্বর। যুদ্ধটি ১৩ দিন স্থায়ী হয়েছিল এবং শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানি সৈন্যদের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে শেষ হয়েছিল। এই যুদ্ধের সমাপ্তির সাথে সাথে বাংলাদেশ স্বাধীনতা (Vijay Diwas 2025) লাভ করে। ভারতীয় সৈন্যদের বীরত্বের সামনে পাকিস্তান আত্মসমর্পণ করে। প্রায় ৯৩,০০০ পাকিস্তানি সৈন্য আত্মসমর্পণ করে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং অমিত শাহ এই যুদ্ধের সৈন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “বিজয় দিবস উপলক্ষে, আমি ভারত মায়ের বীর সন্তানদের প্রতি আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই। তাদের সাহস, বীরত্ব এবং মাতৃভূমির প্রতি অটল নিষ্ঠা সর্বদা জাতিকে গর্বিত করেছে। তাদের বীরত্ব এবং দেশপ্রেম দেশবাসীকে অনুপ্রাণিত করে চলবে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘স্বদেশীকরণের মাধ্যমে ক্ষমতায়ন’ উদ্যোগ ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলির জন্য প্রস্তুত থাকার প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে। অপারেশন সিন্দুরে, সেনাবাহিনী আত্মনির্ভরশীলতা, কৌশলগত দক্ষতা এবং আধুনিক যুদ্ধের কার্যকর ব্যবহার প্রদর্শন করেছে, যা সমগ্র জাতির জন্য অনুপ্রেরণা। আমি সমস্ত সৈন্য এবং তাদের পরিবারের প্রতি আমার শুভেচ্ছা জানাই। জয় হিন্দ!”

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার বার্তায় বলেছেন, “বিজয় দিবসে, আমরা সেই সাহসী সৈন্যদের স্মরণ করি যাদের সাহস এবং আত্মত্যাগ ১৯৭১ সালে ভারতকে ঐতিহাসিক বিজয় এনে দিয়েছিল। তাদের দৃঢ় সংকল্প এবং নিঃস্বার্থ সেবা আমাদের জাতিকে রক্ষা করেছিল এবং আমাদের ইতিহাসে গর্বের মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তাদের সাহসিকতার প্রতি সালাম। এই দিনটি আমাদের তাদের অতুলনীয় চেতনার কথা মনে করিয়ে দেয়। তাদের বীরত্ব জাতির প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলবে।”

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও সোশ্যাল মিডিয়ায় সাহসী সৈন্য ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে লিখেছেন, “১৯৭১ সালের এই দিনে, নিরাপত্তা বাহিনী তাদের অদম্য সাহস এবং সুনির্দিষ্ট কৌশল দিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করে। এই বিজয়, অন্যায় ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঢাল হয়ে, বিশ্বজুড়ে মানবতা রক্ষার একটি আদর্শ উদাহরণ উপস্থাপন করে এবং ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর অনন্য সামরিক ক্ষমতা এবং বীরত্বের প্রমাণ দেয়। বিজয় দিবসে, আমি সেই সাহসী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই যারা যুদ্ধে তাদের জীবনের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন।”